চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ, জাহাজগুলোকে বহির্নোঙরে পাঠানোর নির্দেশ

প্রলয়ঙ্কারি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে ‘বুলবুল’। এর প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ ৯ উপকূলীয় জেলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সতর্কতা জারি থাকবে। ‘বুলবুল’কে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়া অফিসের এ ঘোষণার পর বন্দর জেটিতে অবস্থান করা সব জাহাজ বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে বন্দর জেটিতে একটি জাহাজও নেই বলে জানিয়েছেন বন্দর সচিব ওমর ফারুক। একইসঙ্গে বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘৬ নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষণা করার পরই আমরা জেটিতে থাকা জাহাজগুলোকে বহির্নোঙরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেই। শনিবার সকালে বন্দরের মূল জেটিতে থাকা জাহাজাগুলো একে একে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন একটি জাহাজও জেটিতে নেই। ছোট লাইটারেজ জাহাজগুলোকে শাহ আমানত সেতুর ওপারে উজানে (আপস্ট্রিমে) পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কার্গো হ্যান্ডলিং থেকে শুরু করে কন্টেইনার পরিবহন সব কাজ বন্ধ। রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ অন্যান্য হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি প্যাকিং করা হচ্ছে। ঝড়ো হাওয়ায় যাতে কনটেইনার পড়ে পণ্যের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়ে ওমর ফারুক বলেন, ‘৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত মানে হলো আমাদের ফায়ার সার্ভিস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা আবহাওয়া অফিসের সতর্কতা সংকেতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছি। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।’