ময়মনসিংহে স্ত্রীর সহায়তায় এগারো বছরের শিশুকে বৃদ্ধের ধর্ষণ

ময়মনসিংহের ফুলপুরে স্ত্রীর সহায়তায় এগারো বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দুলাল ফকির (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে শনিবার ফুলপুর উপজেলার রূপসী ইউনিয়নের বাট্রা গ্রামে দুলাল ফকিরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

রবিবার দুপুরে ঘটনার শিকার শিশুর বাবা বাদী হয়ে ফুলপুর থানায় ধর্ষক দুলাল ফকির ও তার স্ত্রী মদিনা খাতুনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ধর্ষক বৃদ্ধ দুলাল ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এ ঘটনায় জড়িত দুলাল ফকিরের স্ত্রী মদিনা খাতুন পলাতক রয়েছে।

ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী জানান, এ ঘটনায় মামলার পর পরই আসামি দুলাল ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামি মদিনা খাতুন পলাতক থাকলেও তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ঘটনার শিকার শিশুটির পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শনিবার বাট্রা গ্রামের ওই দিন মজুরের কন্যা শিশুকে কৌশলে ডেকে নিয়ে স্ত্রীর সহায়তায় নিজ বসত ঘরে ধর্ষণ করে বৃদ্ধ দুলাল মিয়া। এ সময় শিশুটি চিৎকার করতে চাইলে তার মুখ চেপে ধরে এবং হত্যার হুমকী দেয় ধর্ষক। কিন্তু শিশুটির চিৎকার ও আর্তনাদে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তার বাবা-মাকে খবর দিলে ধর্ষণকারীর বসতঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তারা।

পরে ঘটনার শিকার ওই শিশুকে প্রথমে ফুলপুর পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে শিশুটি মমেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

ওই শিশুটিকে ধর্ষণের সময় স্ত্রী মদিনা থাতুন তার স্বামী দুলাল ফকিরকে সহায়তা করেছেন বলে শিশুটির পরিবার পুলিশকে জানায়।