ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন

নুসরাত হত্যায় ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার বাদী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বুধবার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ জেরা শুরু করেন। এদিন জেরা শেষ না হওয়ায় আদালত আগামী ২০ আগস্ট পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

সাক্ষ্য গ্রহণকালে কারাগারে থাকা আসামি মোয়াজ্জেম হোসেনকে ট্রাইব্যুনালে কারাকর্তৃপক্ষ হাজির করেন। এর আগে গত ১৭ জুলাই ট্রাইব্যুনাল আসামি মোয়াজ্জেমের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করেন। এরপর আসামি অভিযোগ অস্বীকার করায় ৩১ জুলাই সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করা হয়।

মামলায় এর আগে গত ১৬ জুন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন গ্রেপ্তার হন এবং ১৭ জুন তাকে একই ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন একই বিচারক। এরপর গত ২৪ জুন এক আবেদনে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাবিধি অনুযায়ী তাকে ডিভিশন প্রদানের আদেশ দেন। প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে কারাবিধি অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির মর্যাদা ভোগ করছেন।

এরও আগে গত ২৭ মে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এ মামলায় দাখিলকতৃ তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ওইদিনই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন।

প্রসঙ্গত, অধ্যক্ষ সিরাজ উদদ্দৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা তুলে নেওয়ার জন্য গত ৬ এপ্রিল রাফিকে মুখোশ পরা চার থেকে পাঁচ জন চাপ প্রয়োগ করলে সে অস্বীকৃতি জানালে তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে সে মারা যায়।

পরবর্তীতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বাদী হয়ে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।