প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মামীকে মেরে যুবকের আত্মহত্যা
বগুড়ায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মামী আলেয়া বেগমকে (৩০) কাঠ কাটার ধারালো বাটাল দিয়ে হত্যার পর সেই একই বাটাল দিয়ে নিজের পেটে আঘাত করে আত্মহত্যা করেছেন আপেল মিয়া (২২) নামে এক যুবক। মঙ্গলবার (১৪ মে) জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের ভাগকোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আলেয়া বেগম ভাগকোলা গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী। আপেল মিয়া শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগরইউনিয়নের টেপাগাড়ি গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে। সে পেশায় কাঠমিস্ত্রি ছিল।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই তাদের দু’জনের মধ্যেই বিরোধ চলছিলো। সেই বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার সকালে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এরই একর্যায়ে ভাগ্নের হাতে থাকা কাঠ কাটার ধারালো বাটাল দিয়ে মামীর ঘাড়ে ও মাথায় একাধিক আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এরপর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি পরিত্যক্ত ভবনে গিয়ে একই বাটাল দিয়ে নিজের পেটে আঘাত করেন আপেল মিয়া। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, আপেল মিয়া ভাগকোলা গ্রামে তার নানার বাড়িতে বসবাস করতেন। পেশায় তিনি কাঠমিস্ত্রি ছিলেন। নানা বাড়িতে থেকেই কাজ করতেন তিনি। আর নানার বাড়িতে থাকার সুবাধে আপেল মামী আলেয়া বেগমকে প্রেম প্রস্তাব দিয়ে বসেন। কিন্তু তার মামী সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিকভাবে সালিশ-বৈঠক হয়েছে। সালিশে আপেলকে তার বাবার বাড়িতে চলে যেতে বলা হয়। মূলত তখন থেকেই আপেল তার মামীর ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। সেই বিরোধের জেরে মামীকে হত্যার পর আপেল নিজেও আত্মহত্যা করেছেন।