কোটচাঁদপুরে ডাকাতি মামলায় বেরিয়ে এলো ১২টি মামলার চাঞ্চল্যকর তথ্য!

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভাধীন বড়বামুন্দা রেলগেট এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় আটক শৈলকুপা উপজেলার চরমালিথিয়া গ্রমের মৃত মান্নানের ছেলে সবুজ শেখকে রিমান্ডেয় পুলিশ কেঁচোর সন্ধান করতে যেয়ে খোদ গোখরো সাপের সন্ধান পেয়েছে।

এ আসামীকে নিয়ে পাবনা, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, শৈলকূপা ও ঝিনাইদহ পুলিশ প্রাসনের মধ্যে তোলপাড় শুারুহয়েছে। গ্রোরকৃত সবুজ শেখের (ভূয়া নাম) প্রকৃত পরিচয়ে বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। মামলা গুলি হচ্ছে ডাকাতি, হত্যা ও বিষ্ফোরকের। কোটচাঁদপুর থানায় ডাকাতি মামলার তদন্ত অফিসার (ওসি তদন্ত) ইমরান আলম এ প্রতিনিধিকে বলেন, ডাকাতি’র কিছু স্বর্ণলোংকারসহ গ্রেপ্তারের পর তার দেয়া নাম ও পাসপোর্টের ফটোকপি দেখে সবুজ শেখ (২৫) নামে গত ৫মে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরবর্তীতে তদন্তে সবুজ শেখের উপর সন্দেহ ঘনিভূত হয়। আদালতে রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত তাকে ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

তদন্ত অফিসার (ওসি তদন্ত) ইমরান আলম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সবুজ শেখ স্বীকার করে এর আগে তার নাম, পিতার নাম, বাড়ীর ঠিকানা সে ভুল দিয়েছিল। তার প্রকৃত নাম সাগর আলী, পিতার নাম-আব্দুল কুদ্দুস, গ্রাম-শেখপাড়া বিহারিয়া, থানা-খোকসা, জেলা- কুষ্টিয়া। অথচ কোটচাঁদপুরে ডাকাতির স্বর্ণলোংকারসহ গ্রেপ্তার হলে সে তার নাম বলে সবুজ শেখ, পিতা-মৃত. মান্নান শেখ, গ্রাম-চরমালিথিয়া, থানা- শৈলকুপা, জেলা-ঝিনাইদহ। পুলিশ সাগর আলীর প্রকৃত পরিচয় পেয়ে জানতে পারে সে একজন ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী। পাবনা, রাজবাড়ী, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলাতে অগণিত ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত গ্রেপ্তারকৃত এই সাগর আলী। তার বিরুদ্ধে এ সকল জেলার থানা গুলোতে ১২টি মামলার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। মামলা গুলির মধ্যে রয়েছে ৯টি ডাকাতি, ১টি হত্যা, ১টি অস্ত্র, ১টি বিস্ফোরক আইনে। এর মধ্যে কয়েকটি মামলায় তাকে জেল দেয়া হয়েছে।

কোটচাঁদপুর থানার তদন্ত ওসি ইমরান আলম বলেন, আসামী সাগর আলীর স্বজনরাও সাগরের প্রকৃত পরিচয় গোপন রেখে ভূয়া নামে (সবুজ শেখ) শৈলকুপা উপজেলার ৮নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চারিত্রিক ও নাগরিকত্ব সনদ পত্র নিয়ে আদালতে জমা দিয়েছেন তাকে জামিনের জন্য। এই সনদে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান স্বাক্ষর করেছেন ৮মে ২০১৯ তারিখে। বষয়টি জানতে শৈলকুপা উপজেলার ৮নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের সাথে কথা বললে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন-সবুজ শেখ নামে আমি কাউকে সনদ দিই নাই। এটা জাল হতে পারে। আমরা অনেক সময় বিশ্বাসের উপর সনদ দিয়ে থাকি। তবে সনদ দেয়ার বিষয়ে আমি সতর্ক হয়ে গেলাম। এর আগেও আসামী সাগর আলী নিজে তার পরিচয় গোপন রেখে সবুজ শেখ নামে পাসপোর্ট করেছিল। পুলিশের ধারণা গত ৫ বছর ধরে জন প্রতিনিধিদের সহযোগীতায় সাগর আলী ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে ডাকাতিরসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছে। এটা এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি