ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির প্রতিবাদে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

আজ সোমবার বিকালে ডাকসু নির্বাচনে কারচুপি ও ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে শাহাবাগে জাতীয় যাদুঘরের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা। ডাকসু নির্বাচনে কারচুপি ও ভোট ডাকাতির দায় প্রশাসনের উল্লেখ করে কারচুপির নির্বাচন বন্ধ করার দাবি করা হয়। পাশাপাশি পুনরায় তফসিল ঘোষণার দাবি জানানো হয়।

সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল রতন বলেছেন, আমার বাবা ঢাবির শিক্ষার্থী, আমার স্ত্রী ঢাবির শিক্ষার্থী, আমার দুই সন্তান ঢাবির শিক্ষার্থী। ডাকসুর এই প্রহসনের নিবার্চনের তীব্র নিন্দা জানায়।

১০/১১ শিক্ষাবর্ষে ক্যামিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী পাবেল বলেন আমার সময় কোন ডাকসু নির্বাচন হয়নি। যার কারণে আমি ডাকসু নির্বাচনের ভোট দিতে পারিনি। আমার ছোট ভাইরা সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু এই নির্বাচন প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। একজন ঢাবির সাবেক ছাত্র হয়ে আমি এই নির্বাচন মেনে নিতে পারি না। আমি এর প্রতিবাদ করছি।

সমাবেশ থেকে বলা হয়, এই কারচুপির নির্বাচনের প্রতিবাদে আগামী ৩ দিন কালো ব্যাজ ধারণ করা হবে। আগামী কাল বিকাল ৪ টায় জাতীয় যাদুঘরের সামনে থেকে নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে। আমাদের দাবি না মানলে আমরা কঠর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবো।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২৮ বছর পর আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদের প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তবে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে বেলা ১১ টা ১০ মিনিট থেকে ওই হলে ফের ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

পরবর্তীতে নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম, ভোগ্রহণে বাধা এবং কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বাম ছাত্রসংগঠনগুলো নিয়ে গঠিত প্রগতিশীল ছাত্রজোটসহ চার প্যানেল।

পরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের বাস ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে। আর অন্যান্য প্যানেলের প্রার্থীরা প্রথমে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে টিএসসি’র রাজু ভাস্কর্যের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান নেন। পরে তারাও বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভিসি’রা কার্যালয় ঘেরাও করে।

প্রসঙ্গত, ডাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ৪২ হাজার ৯২৩ জন। নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুসারে ডাকসুর ২৫ পদের বিপরীতে মোট প্রার্থী হয়েছেন ২২৯ জন; ১৮টি হল সংসদে ১৩টি করে ২৩৪টি পদে বিপরীতে প্রার্থী ৫০৯ জন। ১২টি প্যানেলের বাইরে ভিপি পদে ৯ জন এবং জিএস পদে ২ জন স্বতন্ত্র হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২১ জন; তাদের সঙ্গে এই নির্বাচনে ১৪ জন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং ১৩ জন সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে লড়ছেন। মোট ভোটার ৪৩ হাজার ২৫৫ জন। তাদের মধ্যে ৫টি ছাত্রী হলের ভোট ১৬ হাজার ৩১২।