ঝিনাইদহে সোনালী ব্যাংকের ৭ কর্মকর্তা একযোগে বরখাস্ত
ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংকের ৭ কর্মকর্তাকে সাময়িক ভাবে একযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে। ব্যাংকের দুইজন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসারকে মারধর, ব্যাংকের টেবিল চেয়ার ও আসবাবপত্র ভাংচুরের দায়ে শৃংখলা বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার তাদের সাময়িত ভাবে বরখাস্ত করা হয়।
সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম অফিসের ইনচার্জ আব্দুল মজিদ এ খবর নিশ্চত করেন। বরখাস্তকৃতরা হলেন ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংকের অফিসার আক্কাচ আলী, শৈলকুপা ব্যাংকের সিনিয়র ক্যাশ অফিসার নারশেদ আলী, শেখপাড়া বাজারের অফিসার হারুন উর রশিদ, একই ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার মানবেন্দ্র, রবিনারিকেল বাড়িয়া শাখার অফিসার মন্টু কুমার ঘোষ, কালীগঞ্জ শাখার হাবিবুর রহমান ও ঝিনাইদহ প্রিন্সপাল অফিসের রোকন উদ্দীন।
সোনালী ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের একটি সুত্র জানায়, গত ১ জানুয়ারী/২০১৮ তারিখ সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধু পরিষদ সমর্থিক ব্যাংকাররা সৌজন্য সাক্ষাত ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য বসেছিল। এ সময় বহিরাগত ব্যক্তিরা সেখানে হামলা করে ব্যাংকের দুইজন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসারসহ ম্যানেজারদের মারধর করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সোনালী ব্যাংকের এমডি দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।
পরে উল্লেখিত ৭ অফিসারকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়। সুত্র জানায় বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও স্বাধীনতা পরিষদের নেতাদের দ্বন্দের জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এ বিষয়ে দুই সংগঠনের কোন নেতাই মুখ খুলছে না।
বিষয়টি নিয়ে সোনালী ব্যাংকের অফিসার ও স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের নেতা আক্কাস আলী জানান, আমরা কোন ভাবেই এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার সাথে জড়িত নয়। ঘটনার দিন কে বা কারা ব্যাংকের অফিসার কামালকে মারধর করে। আমরা তাদের চিনিও না। পরে জানতে পারি ব্যাক্তিগত আক্রশের কারণে অফিসার কামালকে মারধর করা হয়েছে এবং এ ঞঘটনার সাথে আমাদের দায়ী করে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি