ঝিনাইদহে নির্যাতনের শিকার গৃহবধু, মামলা করতে বাঁধা

ঝিনাইদহ শহরের শিকারপুর গ্রামে নির্যাতনের শিকার সেই গৃহবধু রেখা (২২) চার দিনেও থানায় মামলা করতে পারেনি। প্রভাবশালীদের হুমকী ও ক্রমাগত বাধার কারণে রেখার পিতা আব্দুল ওহাবকে থানায় আসতে দেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আর হামলার শিকার রেখা খাতুন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে মাথায় ব্যান্ডেজ ও ভাঙ্গা হাত নিয়ে কাতরাচ্ছেন।

রেখার পিতা আব্দুল ওহাব অভিযোগ করেন কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রতিবেশি মসিউর রহমান টুটুল নামে এক বখাটে রেখাকে মারপিট করে মাথা ফাটিয়ে একটি হাত ভেঙ্গে দেয়। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রেখার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রেখা ও তার পিতা মামলা করতে আসলে চাইলেও নেতাদের চাপের কারণে আসতে পারছেন না। খবর পেয়ে ঘটনার দিন রাতেই ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই রবি শংকর আহত রেখাকে দেখতে হাসপাতালে যান। মামলা করার পরামর্শ দিয়ে আসেন।

কিন্তু চার দিন পার হলেও প্রভাবশালীদের চাপে মামলা করতে পারছে না। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার ঝিনাইদহ শাখার কর্মী মেহেরুন্নেছা মিনু আহত রেখাকে আইনগত সহায়তা করা হবে বলে জানান।

রেখার পিতা আরো জানান, তার মেয়ে ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিক সমির ভোট করেছে। তার পরও তিনি ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। অভিযোগ পাওয়া গেছে শিকারপুর গ্রামের মতলেব মুন্সির ছেলে মসিউর রহমান টুটুল এর আগেও এমন অসামাজিক কাজ করেছেন বলে রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেও টু-শব্দ করতে পারে না।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানর রহমান খান বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি যত শক্তিশালী হোক না কেন পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না। তিনি বলেন নির্যাতিতদের যে কেও থানায় এসে একটা অভিযোগ দিলেই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি