নির্বাচনকে ঘিরে রাজধানীর ব্যাচেলর বাসা-মেসে নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ

রাজধানীর ব্যাচেলর বাসা-মেসসহ ভাসমান বাসিন্দাদের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। নাশকতার পরিকল্পনা ও দেশকে অস্থিতিশীল করা হতে পারে এমন আশঙ্কায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বেশ কয়েকটি স্থানে ভোটার নন, ভাসমান, ব্যাচেলর এমন বাসিন্দাদের এলাকাও ছাড়তে বলা হয়েছে।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ব্যাচেলর বাসা-মেসসহ ভাসমান বাসিন্দাদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। রাজধানীর একাধিক এলাকার ব্যাচেলর বাসা ও মেস মালিকরা জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার অজুহাতে ভোটের আগের দিন, ভোটের দিন ও ভোটের পরের দিন মেস ও ব্যাচেলর বাসা ফাঁকা রাখতে বলা হয়েছে। এই ধরনের নির্দেশের কারণে তারা বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন। রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকার দক্ষিণ পাইকপাড়ার ১০ নং সড়কের এক বাসা মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমার বাসায় ব্যাচেলর রয়েছে। তাদেরকে নির্বাচনের দিনসহ তিন দিন এলাকা ছেড়ে থাকার কথা বলা হয়েছে। পুলিশ বলছে- নিরাপত্তার স্বার্থে না কি এমন নির্দেশনা।’ মিরপুর পীরেরবাগ এলাকার একাধিক মেসের ছাত্র ও চাকরিজীবীরা জানান, মেসে এসে মালিক বলে গেছে নির্বাচনকালে তিন দিন মেসে থাকা যাবে না। পুলিশ না কি থাকতে নিষেধ করেছে। এই সংবাদে বেশ কয়েকজন ছাত্র চলেও গেছে।

কিন্তু পুলিশ বলছে, নাশকতার পরিকল্পনা ও দেশকে অস্থিতিশীল করা হতে পারে এমন আশঙ্কায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নজরদারি করা হবে, তবে এলাকা ফাঁকা করে চলে যেতে বলার কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এলাকায় এ ধরনের কোনো নির্দেশনা নেই। তবে ব্যাচেলর ও মেসের বাসিন্দা এবং নন-ভোটার ভাসমান বাসিন্দাদের নিরাপত্তা জনিত কারণে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’ মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীরও একই ধরনের তথ্য জানান।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার(ডিবি) মাহবুব আলম বলেন, ‘নন-ভোটার, ভাসমান বাসিন্দা কিংবা ব্যালেচর কিংবা মেসের কোনো বাসিন্দাকে এলাকা ছেড়ে চলে যাবার মতো কোনো নির্দেশনা ডিএমপি থেকে দেয়া হয়নি। এটা করাও কঠিন। কারণ অসংখ্য মানুষ আছেন যারা এলাকায় ভোটার কিন্তু ঢাকা ছেড়ে যাবার কোনো সুযোগ নেই। তবে নিরাপত্তা হেতু নজরদারি তো থাকাই দরকার।’