ফরিদপুরে স্কুলছাত্র অন্তর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা নাজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র অন্তরের খুনিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে স্মারকলিপি, বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।

রবিবার (৪জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনের মুজিব সড়কে আধা ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন কয়েক শ মানুষ। এ সময় অন্যদের বক্তব্য দেন মুফতি সালমান ফরিদী, আলমগীর হোসেন, ওদুদ শেখ, অন্তরের দাদি ভানু বেগম, চাচি রিভা খাতুন এবং নিহত অন্তরের মা জান্নাতী বেগম।

বক্তারা বলেন, যারা নিষ্পাপ অন্তরকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে তাদের বিচারের মাধ্যমে দ্রুত ফাঁসি দেওয়া হোক। হত্যাকারীরা অন্তরকে নির্মমভাবে হত্যার পর আবার আশপাশ দিয়েই ঘোরাফেরা করেছে। বক্তারা আরো বলেন, অন্তর হত্যায় জড়িত খোকন, সুজন, জুবায়ের, মাহবুব ও কামালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরো ১৬ জন পলাতক। মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

এর আগে অন্তরের খুনিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়ার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন খাঁন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ জুন তারাবি নামাজ পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় তালমা নাজিম উদ্দিন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ও উপজেলার তালমা ইউনিয়নের পাগলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা গ্রিস প্রবাসী আবুল হোসেন মাতব্বরের ছেলে অন্তর (১৪)। পরে অন্তরের মায়ের মোবাইলে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।

১৪ জুন রাতে অপহরণকারীদের দেখানো জায়গায় মুক্তিপণের এক লাখ ৪০ হাজার টাকাও রেখে দেন অন্তরের মা। মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার ১৯ দিন পর তালমা ইউনিয়নের পাগলপাড়া গ্রামের মাঠ থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা অন্তরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অন্তরের মা জান্নাতী বেগম বাদী হয়ে ২১ জনকে আসামি করে নগরকান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ খোকন, সুজন, জুবায়ের, মাহবুব ও কামালকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়।

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি