সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ অফিস অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের আখড়া

সিরাজদিখানে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে নানা অনিয়মে অভিযোগ উঠেছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিতে সরকার যেখানে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে আর উপজেলায় বিদ্যুৎ বিল, খুটি ও সংযোগ ঘিরে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে চলছে অনিয়মের প্রতিযোগীতা। বিদ্যুৎ অফিসের অনিয়ম নিয়ে যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

নতুন মিটার সংযোগ নিতে হলে মিটার প্রতি অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। গ্রাহকরা অনলাইলে আবেদন করলেও অতিরিক্ত টাকা ছাড়া মাসের পর মাস ঘুরিলেও মিটার মিলেনা। আর ঘুষ হলেই সকল নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ভুয়া কাগজে মিলছে নতুন সংযোগ। সুযোগ পেলে এক মাসের বিল দুইবার আদায় করে বিদ্যুৎ অফিস। ভয় দেখিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করে থাকে। এছাড়া কতিপয় প্রতিষ্ঠানের মিটার টেম্পারিং করেও হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ভোল্টিজ কম থাকার কারণে লোড নিতে পারেনা তাই ডিজিটাল মিটারের মাধ্যমে ব্যবহৃত বিদ্যুতের চেয়ে ৩/৫ গুন বিল বেশী পরিশোধ করতে হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে বিদ্যুৎ বিল গ্রাহকরা। পল্লী বিদুৎ অফিসে অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে জিম্মি বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।

গ্রাহকদের অভিযোগ ট্রান্সমিটারের লোডের নাম করে গ্রাহকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। এ অনিয়মের সাথে জড়িত আছে বিদ্যুৎ অফিসের নিম্ন শ্রেীণীর কর্মকর্তা থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায় কর্মকতা জড়িত। বিদ্যুৎ অফিসের প্রায় ৬০ জনের মত দালালের আখড়া। স্থানীয় কিছু দালালের মাধ্যামে কোন নোটিশ ছাড়া লাইন বিচ্ছিন্ন করে থাকেন। অভিযোগ পাওয়া যায় বিদ্যুৎ অফিসের টেলিফোন নাম্বারে ফোন দিলে তারা রিসিভ করে না। এমনকি কোন দূর্ঘটনা ঘটলেও তাদের পাওয়া যায় না। ভোক্তভুগী মো. সুমন বলেন, আমার থেকে জানুয়ারি মাসের দুই বার বিল নিছে । আমি যখন পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে যান্তে চাইলে তখন অফিসের মহিলা কর্মকর্তা খারাপ ব্যবহার করেন।

ভোক্তভুগী হাজেরা বেগম জানান, আগের চেয়ে ৩/৪ গুন বেশী বিল আসে। যদি সময় মত বিল দিতে না পারি বিনা নোটিশ ছাড়া লাইন কেটে দেয়। অফিসের লোক বাড়ীতে এসে মিটারের লাইন কাটার ভয় দেখিয়ে ১২শত টাকা নিয়ে সময় দিয়ে যায়। পরে জরিমানা সহ বিল পরিশোধ করতে হয়। অফিসে কিছু জান্তে চাইলে সব সরকারের দোহাই দেই। বিল পরিশোধ করতে পারি না এখন যেন মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দারিয়েছে। বেশি কথা বলতে গেলে কোন না কোন উপায়ে যদি সংযোগ বিছিন্ন করে দেয়। বিদ্যুৎ ছাড়া তো চলা যায় না।

উপজেলা পল্লী বিদুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম বলেন, আমি মাসে একবার বিলের কাগজ তৈরি করি। দুইবার পাবে কি ভাবে। তার বিল যদি ৩/৪ মাসের জমা হয় তখন এক মাসের টা অন্য মাসে যোগ হয়। লাইন কাটলে ১২শত টাকা জরিমানা দিতে হয়। যদি কোন কর্মকর্তা অনিয়ম করে থাকে প্রমান দিতে পারলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি