বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রীদের আনতে কাঠমান্ডু গেল রিজেন্ট এয়ারলাইন্স

নেপালের রাজধানীর কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের(টিআইএ) ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত হওয়া বিমান ‘S2-AGU’ করে যাদের নেপাল থেকে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল সেসব যাত্রীদের আনতে গেলে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজ কাঠমান্ডুতে গিয়েছে।

রিজেন্টের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের এজিএম (এয়ারপোর্ট সার্ভিস) মোহাম্মদ জাফরুজ্জামান বলেন, “সন্ধ্যে পৌনে ৭টায় রিজেন্ট এয়ার ওয়েজের RX 795 ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের পরিচালক কাজী ইকবাল করিম, সিভিল এভিয়েশনের এক্সিডেন্ট এক্সপার্ট সারোয়ার ভুঁইয়া আর ইউএস বাংলার ক্যাপ্টেন লুৎফর রহমান নেপালের উদ্দেশে যাত্রা করেন।”

নেপাল থেকে ৩৫ জন যাত্রী ইউএস-বাংলার ফিরতি ফ্লাইটে আসার কথা ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “তাদের রিজেন্ট নিয়ে আসবে।”

সোমবার দুপুরে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে রওনা হওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এই উড়োজাহাজাটির বিকালে ফিরতি ফ্লাইটে ঢাকায় যাত্রী নিয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। এতে তখন ৬৭ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিলেন। দুর্ঘটনায় আরোহীদের মধ্য অর্ধ শত জন নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামা সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। চালু হওয়ার পরপরই ইউএস-বাংলার ফিরতি ফ্লাইটের যাত্রীদের আনতে রিজেন্টের একটি উড়োজাহাজ ঢাকা থেকে রওনা হয়।

প্রসঙ্গত, ঢাকা থেকে নেপালের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৭৮ যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায় বিমানটি।

নেপাল টাইমস-এর খবরে বলা হয়েছে, ৭৮ জনকে ধারণে সক্ষম ওই বিমানে চার ক্রু ও ৬৭ যাত্রী মিলে ৭১ জন আরোহী ছিল। বিমানের ৩২ আরোহী বাংলাদেশি এবং ৩৩ জন নেপালি।