রাঙ্গামাটিতে পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, মঙ্গলবার হরতাল
রাঙ্গামাটিতে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুপায়ন চাকমার ওপর সন্ত্রাসী হামলার জেরে পুলিশ ও ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টাধাওয়াসহ দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাংবাদিক, পুলিশ, পথচারী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এবং এসপি ও কোতোয়ালি থানার ওসিকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারসহ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার দাবিতে মঙ্গলবার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ।
সোমবার সন্ধ্যার পর শহরের বনরূপা, হ্যাপির মোড়, জজ আদালত প্রাঙ্গণ, কলেজগেটসহ কয়েক স্থানে এসব বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় শহরে পরিস্থিতি থমথমে হয়ে ওঠে।
জানা গেছে, সন্ধ্যার দিকে শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুপায়ন চাকমাকে কুপিয়ে আহত করে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনার জন্য পাহাড়ি ছাত্র পরিষদকে দায়ী করেছে ছাত্ররীগ। এর প্রতিবাদে সঙ্গে সঙ্গে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় রাস্তা অবরোধ করে ও টাওয়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এতে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। এতে পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ বিভিন্ন স্থানে কম্পক্ষে ২০-৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। অন্যদিকে পুলিশের ওপর লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কর্তব্য পালনকালে ছাত্রলীগের লাঠির আঘাতে আহত হয়েছেন দৈনিক সমকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সত্রং চাকমা।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল জব্বার সুজন বলেন, পুলিশ বিনা উস্কানিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসানের নির্দেশে এ নগ্ন হামলা চালায় পুলিশ।
তিনি এ ঘটনার দায়ে পুলিশ সুপার এবং কোতোয়ালি থানার ওসি সত্যজিৎ বড়ুয়াকে প্রত্যাহারসহ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। পুলিশের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করা বলে জানান তিনি।