স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি

ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং ঢাকার দুই সিটিতে যুক্ত হওয়া কাউন্সিলর পদে সাধারণ নির্বাচনের ওপর হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে লড়বেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল ও তৌহিদুল ইসলাম। রবিবার এই দুজন আইনজীবীর নিয়োগ সংক্রান্ত চিঠি দেয়া হয়েছে। ইসি সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, যেসব কারণে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন স্থগিত হয়েছে তার বেশিরভাগই স্থানীয় সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। ভোটার হালনাগাদ সংক্রান্ত কিছু দায়িত্ব কমিশনের ওপর বর্তিয়েছে। নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম আপিল করার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কপি পাওয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে মিটিং করেছি। আইনজীবীদের সঙ্গেও বসেছি। দুইজন আইনজীবীকে ওকালতনামা দেয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ আপিলে স্থগিত হলে আইন অনুযায়ী নির্বাচনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে কবিতা খানম জানান, রিট আবেদনে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত বিষয়টি ছাড়া বাকিগুলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ। এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার বিভাগকেও এগিয়ে আসতে হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসির একজন কর্মকর্তা বলেন, আদালতের রায়ের কপি পর্যালোচনা করেছি। এতে দেখা গেছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ না থাকা, নতুন যুক্ত হওয়া কাউন্সিলরদের মেয়াদ নির্ধারণ না করা, ঢাকা উত্তর সিটির কর্পোরেশনের ৭৫ শতাংশ জনপ্রতিনিধি না থাকা এবং যেসব ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দুই সিটিতে যুক্ত করা হয়েছে, সেইসব ইউপির চেয়ারম্যানদের অব্যাহতি না দেয়ার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ভোটার তালিকা সংক্রান্ত বিষয়টি ইসির কাজ। বাকি সবই স্থানীয় সরকার বিভাগের কাজ। তিনি বলেন, যখন স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে কোনো সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইসিকে অনুরোধ জানানো হয়, তখন ধরেই নেয়া হয় সেখানে কোনো জটিলতা নেই। এ কারণেই ইসিকে নির্বাচন করতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপনির্বাচন ও এ সিটিতে যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট। আলাদা দুটি রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত ১৭ জানুয়ারি বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডের নির্বাচন চার মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।