অনুষ্কার লেহেঙ্গার জমিতে বসানো ছিল মুক্তাদানা!

বিরাট কোহলি-অনুষ্কা শর্মা। গত সোমবার রাত থেকে এই দুটি নামই যেন প্রতিধ্বনিত হচ্ছে সব জায়গায়। সদ্যই রূপকথার বিয়ে সারলেন অন্যতম রোম্যান্টিক এই তারকা জুটি। রোম থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে তাস্কানির বর্গ ফিনোচ্চিয়েতো অঞ্চলে ছিল এই হাই প্রোফাইল বিয়ের অনুষ্ঠান।

বিরাট-আনুশকার বিয়ে সম্পর্কিত কিছু অজানা তথ্য-

১। বিয়ের সমস্ত প্ল্যানিং করেছেন দিল্লির ওয়েডিং প্ল্যানার দেবিকা নারিন।

২। বিয়ের সব ছবি তুলেছেন পৃথিবী বিখ্যাত ওয়েডিং ফটোগ্রাফার দেবিকার স্বামী জোসেফ রাধিক। প্রায় দু’কোটি খরচ হয়েছে কেবল ছবি ও ভিডিওগ্রাফিতে।

৩। বিরাট-অনুষ্কা বিয়ে ও বউভাতের সব ছবির এক্সক্লুসিভ রাইট বেচে দেওয়া হবে নির্দিষ্ট ম্যাগাজিন ও বিনোদন চ্যানেলকে। দুই কোটির অনেকটাই উঠে আসবে সেখান থেকে।

৪। বিয়ের পর রিসেপশনের নিমন্ত্রণপত্র ছাড়াও একটা মস্ত মিষ্টির বাক্স ও ড্রাই ফ্রুটসের ঝুড়ি উপহার দেওয়া হয়েছে। নিমন্ত্রণপত্রতে একটা ইউনিক QR Code আছে। সেটি স্ক্যান করা আবশ্যিক।

৫। সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় অনুষ্কা পোশাক ও গয়নার দ্বায়িত্বে ছিলেন। সব্যসাচীর হেরিটেজ জুয়েলারি কালেকশন থেকে কেনা দশ লক্ষের হিরের নেকলেস পড়েছিলেন নায়িকা। আনকাট ডায়মন্ড, মাঝে চুনি ও নীচে মুক্তা বসানো। সঙ্গে একই রকম ঝুমকো।

৬। বিয়ের পোশাক ছিল গুলকন্দ বারগেন্ডি রঙের। কলকাতার শ্রেষ্ঠ কারিগরদের হাতে বোনা জরদৌসি ও মারোরি লেহেঙ্গা পরেছিলেন অনুষ্কা। লেহেঙ্গার জমিতে মুক্তাদানা বসানো ছিল।

৭। বিরাট দিল্লির পাঞ্জাবি ছেলে। তার জন্য ছিল হাতে বোনা বেনারসি কাজের নক্সা করা শেরওয়ানি। যাতে গোলাপ কাঠের বোতাম লাগানো। সঙ্গে গোলাপি রঙের কোটা সিল্কের পাগড়ি। বুকে পিতলের ব্রোচ।

৮। পুরো বিয়ের অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় ছিল ‘শাদিস্কোয়াড’ নামক জনৈক সংস্থা। চার মাস ধরে প্ল্যানিং চলেছে। টপ বস ছাড়া বাকি সদস্যরা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি।

৯। প্রথম থেকেই ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন আনুশকা। তার ইচ্ছে ছিল, প্রকৃতির মাঝে বিয়ে করার। মূলত তার ইচ্ছাতেই ইতালিতে গাঁটছড়া বাঁধলেন এই দুই লাভ বার্ডস।

১০। হাই প্রোফাইল এই বিয়ের খাবারের দায়িত্বে ছিলেন সেফ রিতু ডালমিয়া। রিতুর ‘চিত্তামানি’ রেস্তোরাঁর বেশ কিছু সিগনেচার পদ ছিল এলাহি মেনুর মধ্যে।

১১। ভারতীয় এবং ইতালিয়ান খাবারের ‘পারফেক্ট’ মেলবন্ধন ছিল তাদের বিয়ের মেনুতে। ছিল পোর্সিনি মাসরুম র‌্যাপড ইন বিকানেরি রুটি, স্টাফড রাভিওলি উইথ পনীরকুরচান। বেশ কিছু সাউথ ইন্ডিয়ান ডিশও ছিল। ডেসার্টের মধ্যে ছিল রাবড়ি।

১২। হানিমুনে বিরাট-আনুশকা যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহের পর কাজে ফিরবেন দুই জনই।