জুনিয়র অ্যাথলেটিক্সে হাই জাম্পে তিনটি নতুন রেকর্ড

সাত স্বর্ণসহ প্রথম দিনে ১৩ পদক- বিকেএসপির অফিসিয়ালদের প্রতিটি ইভেন্টের ফাইনালের পরই পিঠ চাপড়ালেন অ্যাথলেটদের। তবে তাদের সব উচ্ছ্বাসের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন জিহান, জান্নাতুল ও মাসুদ রানা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে এ তরুণ-তরণীরা গড়েছেন রেকর্ড। তিনটি রেকর্ডই হাই জাম্পে।

বালক বিভাগে বিকেএসপির জুলফিকার নাইম জিহান স্বর্ণ জিতেছেন ১৭ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙ্গে। ২০০০ সালে পাবনার ইয়াকুব আলীর ১.৭৪ মিটারের রেকর্ড অতিক্রম করে জিহান স্বর্ণ জিতেছেন ১.৮১ মিটার লাফিয়ে।

বালিকা ইভেন্টে বিকেএসপির জান্নাতুল ভেঙ্গেছেন ২০০২ সালে বিজেএমসির রাবেয়া সুলতানার ১.৫০ মিটারের রেকর্ড। জান্নাতুল স্বর্ণ জিতেছেন ১.৫০ মিটার লাফিয়ে। কিশোরদের হাই জাম্পে ১.৯৫ মিটার লাফিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন বিকেএসপির মাসুদ রানা। তিনি ভেঙ্গেছেন ২০০৯ সালে একই সংস্থার মাসুদ কায়সারের ১.৮৬ মিটারের রেকর্ড।

বিকেএসপির বাকি ৪ স্বর্ণ জিতেছেন কিশোরীদের ৮০০ মিটার দৌড়ে আইভি আক্তার অরিন, কিশোরদের ট্রিপল জাম্পে হোসেন মুরাদ, কিশোরীদের ২০০ মিটার স্প্রিন্টে দিশা সুলতানা ও বালিকাদের ২০০ মিটার স্প্রিন্টে রূপা খাতুন।

একটি করে স্বর্ণ জিতে ৩৩ তম জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিক্সের প্রথম দিন শেষ করেছে নড়াইল, কুড়িগ্রাম, যশোর, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, নাটোর ও সাতক্ষীরা।

কুড়িগ্রামের স্বর্ণ জিতেছেন কিশোরদের ৮০০ মিটারে মো. আহসান হাবিব, কিশোরগঞ্জের স্বর্ণ জিতেছেন বালকদের শটপুটে মাহমুদুল হাসান শাওন, বালিকাদের শটপুটে স্বর্ণ জিতেছেন যশোরের মুক্তা খাতুন, শেরপুরের স্বর্ণ জিতেছেন কিশোরদের ২০০ মিটার স্প্রিন্টে রাকিবুল হাসান, নাটোরের স্বর্ণ জিতেছেন বালকদের ২০০ মিটার স্প্রিন্টে সুলতান আহমেদ, কিশোরদের জ্যাভলিন থ্রোয়ে স্বর্ণ জিতেছেন নড়াইলের তন্ময় বৈদ্য। সাতক্ষীরাকে দিনের একমাত্র স্বর্ণ জিতিয়েছেন বালকদের লং জাম্ফে কৃষ্ণ মন্ডল।

সকালে জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সভাপতি এ এস এম আলী কবীর এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু। দুই দিনব্যাপী প্রতিযোগিতার শেষ হবে সোমবার।