ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত: চাল জব্দ, গুদাম সিলগালা

বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর পাহাড়তলী থানার বিসিক সাগরিকা এলাকার অভিযান চালিয়ে ৮০ হাজার বস্তায় মজুদ ৪ হাজার টন চাল জব্দ করা হয়। এসময় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মো. তাহেরকেও আটক করা হয়।

চট্টগ্রামে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের’ গুদামজাত ৮০ হাজার বস্তা চাল জব্দ করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চাল মজুদ রাখায় ‘আহমেদ ট্রেডিং’ নামের গুদামটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। টানা তৃতীয় দিনের এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোরাদ আলী। এসময় নগর পুলিশের কর্মকর্তাসহ কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন (ক্যাব) চট্টগ্রামের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোরাদ আলী বলেন, ‘চট্টগ্রামের বেশ কিছু আমদানিকারক চাল মজুদ করে রেখেছে—এমন অভিযোগ আছে আমাদের কাছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিসিক সাগরিকা এলাকার আহমেদ ট্রেডিং নামক গুদামে অভিযান পরিচালনা করে ৮০ হাজার বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্স এসব চাল আমদানি করেছিল। নিয়ম অনুযায়ী আমদানিকৃত চাল এক মাসের মধ্যে বিক্রি করার কথা। অথচ প্রতিষ্ঠানটি নির্দিষ্ট সময়ের পরও এসব চাল বিক্রি না করে গুদামে মজুদ করে রেখেছিল। বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি করতেই প্রতিষ্ঠানটি এমন অসাধু উপায় অবলম্বন করেছে।’

জেলা প্রশাসনের দাবি, দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের পকেট কাটার উদ্দেশেই এক মাসের অধিক সময় পরও আমদানিকৃত এসব চাল গুদামে মজুদ করে রাখা হয়েছিল।