লাদাখে এখনও যুদ্ধের দামামা, দিনভর কূটনৈতিক স্তরে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা

দীর্ঘ আলোচনার পরও সীমান্তে উত্তেজনা সেই রয়েই যায়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দু’তরফের সক্রিয়তা আরও বাড়ার খবর আসে। ফলে বুধবার রাতেও লাদাখের সীমান্তে মুখোমুখিই দাঁড়িয়ে ছিল ভারত এবং চীনের সেনা।বৃহস্পতিবার সকালে ফের চীনের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল। বুধবার দিনভর কূটনৈতিক স্তরে চলল বিবাদ মেটানোর চেষ্টা।

এদিকে লাদাখে ভারতীয় সেনার ফরওয়ার্ড মুভমেন্ট বাড়ানো হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে চীনের নিশানায় থাকা বিমান ঘাঁটিগুলিকে। সতর্কতা হিসেবে খালি করা হচ্ছে চীন সীমান্ত সংলগ্ন ডেমচক এবং প্যাংগং লেকের আশপাশের গ্রামগুলি। সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎহীন করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ টেলিফোন যোগাযোগ।

এছাড়াও সেনাবাহিনীর সদস্যদের ছুটি বাতিল করা হচ্ছে। আরও বেশি করে আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য নেয়া হচ্ছে লাদাখে। চীনের দিকেও সীমান্তের কাছে সাঁজোয়া গাড়ির ভিড় বাড়ছে বলেও একাধিক সূত্রের দাবি। তবে নতুন করে সংঘাতের কোনো খবর সীমান্ত থেকে আসেনি।

গালওয়ান উপত্যকায় হওয়া সংঘাতের ঘটনায় শুরু থেকেই ‘নরমে গরমে’ এগোনোর কৌশল নিয়েছে দুই প্রতিবেশী। তাই কড়া বার্তা বিনিময়ের সঙ্গে জারি আছে সামরিক স্তরে আলোচনা এবং ‘ট্র্যাক টু’ কূটনীতিও।

একদিকে সীমান্তে কথা বলে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করছেন দুই দেশের পদস্থ সামরিক কর্তারা, আবার অন্যদিকে ফোনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে এ দিন দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। যদিও কোনও আলোচনা থেকেই কিছু বের হয়নি।

গত সোমবার রাতে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ভারত ও চীনের সেনারা।সংঘর্ষে ভারতের একজন কর্নেল পদমর্যাদার সেনাসহ মোট ২৩ সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়াও ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় চীনের অন্তত ৪৩ সেনা নিহত অথবা গুরুতর আহত হয়েছে।