কেজি প্রতি ২৫ টাকায় নেমেছে আমদানি করা পিয়াজ

আমদানি করা পিয়াজের কেজি ২৫ টাকায় নেমেছে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে। তবে দেশি পিয়াজ কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা কেজি। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজার ঈদের আগে পিয়াজের দাম কয়েক দফা বেড়ে যায়। ঈদের পরই পিয়াজের দাম কমতে থাকে। তবে গত দু’দিনে দেশি পিয়াজের দাম কিছুটা বাড়লেও আমদানি করা পিয়াজের দাম আরও কমেছে।

শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজােরে দেখা যায়, দেশি পিয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, যা বৃহস্পতিবার ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। আমদানি করা পিয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, যা বৃহস্পতিবার ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনেও আমদানি করা পিয়াজের দাম কমার বিষয়টি উঠে এসেছে। টিসিবি জানিয়েছে, এক সপ্তাহে আমদানি করা পিয়াজের দাম ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ কমে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি পিয়াজের কেজি আগের মত ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পিয়াজের দামের বিষয়ে মালিবাগ হাজীপাড়া বৌ-বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ঈদের পর থেকেই বাজারে আমদানি করা  পিয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। এতে দামও কমেছে। গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা ভারতীয় পিয়াজ আজ ৩০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।

এই ব্যবসায়ী বলেন, আমদানি করা পিয়াজের দাম কমলেও দেশি  পিয়াজের দাম গত দু’দিনে কিছুটা বেড়েছে। ঈদের পর বেশ কিছু দিন দেশি পিয়াজের কেজি ৪০ টাকা বিক্রি হয়। এখন দাম বেড়ে মানভেদে ৪৫ ও ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ীতে আমদানি করা পিয়াজ ২৫ টাকা কেজি বিক্রি করছেন মিলন। তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে ভারতীয় পিয়াজ পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। সেই সঙ্গে দেশি পিয়াজের সরবরাহও বেশ ভালো। কিন্তু বাজারে দেশি পিয়াজের চাহিদার তুলনায় ভারতীয় পিয়াজের চাহিদা অনেক কম। এ কারণে ভারতীয় পিয়াজের দাম কমেছে।

তিনি বলেন, আমাদের ধারণা, শিগগির দেশি পিয়াজের দামও কমবে। কারণ বাজারে এখন দেশি বা আমদানি করা পিয়াজের  কোনো সংকট নেই। আর আমদানি করা পিয়াজ ২৫ টাকা দিয়ে কিনতে পারলে অনেকেই ৪৫ টাকা দিয়ে দেশি পিয়াজ কিনতে চাইবেন না।