বিএসএফের গুলিতে হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশিদেরই দোষ দেখছেন খাদ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশিদেরই দোষ দেখছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে হলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের দোষ দিয়ে লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশি নাগরিকদেই সতর্ক হতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে আমাদের চরিত্র যদি ভালো না হয় – পরের দোষ দিয়ে লাভ নেই।‘

নওগাঁ জেলার পোরশা সীমান্তে বুধবার ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীদের হাতে তিনজন বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হযন। যে সীমান্তে এ ঘটনা ঘটেছে সেখানে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার।

শনিবার রাজশাহীর পবা উপজেলায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তার নির্বাচনী এলাকার তিন ব্যক্তির মৃত্যুর প্রসঙ্গ তোলেন সাংবাদিকরা।

জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এখানে দোষ বাংলাদেশী নাগরিকদেরই, সুতরাং সরকারের কিছুই করণীয় নেই।

তিনি বলেন, ‘আমরা গরুর বিট খুলতে দেব না। আমাদের উপজেলায় রেজ্যুলুশন আছে, বিজিবির রেজ্যুলুশন আছে, জেলা আইন-শৃঙ্খলা মিটিং-এ রেজ্যুলুশন আছে। তারপরও কেউ যদি জোর করে কাঁটাতারের বেড়া কেটে গরু আনতে যায় আর ইন্ডিয়ার মধ্যে গুলি খেয়ে মারা যায়, তার জন্য দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকার নেবে না।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাসীন হবার পর ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১১ বছরে প্রায় সাড়ে তিনশ বাংলাদেশী নাগরিককে সীমান্তে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্ত-রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। চলতি বছরের প্রথম ২৫ দিনে প্রায় ১০ জন বাংলাদেশী বিএসএফ এর হাতে নিহত হয়েছে।