পাহাড়িকা ও উদয়নের নতুন কোচের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

নতুন কোচ নিয়ে সিলেট রুটে নামছে আন্তঃনগর পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন। উদ্বোধনকালে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত থাকবেন- সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ও রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান।রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে দু’টি ট্রেনের নতুন কোচের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জানা যায়, ট্রেনের কোচগুলো ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা হয়েছে। সিলেট-চট্টগ্রাম রুট ছাড়াও দেশের অন্য অঞ্চলগুলোতেও ট্রেনের নতুন কোচ সংযোজন করা হচ্ছে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, পাহাড়িকায় ১৪টি এবং উদয়নে ১৩টি নতুন কোচ সংযোজন হচ্ছে। উদ্বোধন উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রায় তিন যুগ পর সিলেট রুটে আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেসে ১৪টি এবং উদয়নে ১৩টি ‘নতুন কোচ’ সংযোজন করা হচ্ছে। এর আগে এই রুটে ১৯৮৬ সালে পাহাড়িকা এবং ১৯৯৮ সালে উদয়ন ট্রেন চালু হয়েছিল। কিন্তু চালু হওয়ার পর থেকে ট্রেনগুলোতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এবার এই রুটের যাত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টিতে ট্রেনের নতুন কোচে চলাচল করতে পারবে। ফলে যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি লাল-সবুজের মোড়কে সিলেট-চট্রগ্রাম রুটে পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি চলাচল করবে।

রেল নতুন এই দুটি ট্রেনে দুই হাজার ৪৪৪ জন (যাওয়া-আসা) ভ্রমণ করবে। প্রতিটি ট্রেনেই রয়েছে এসি-২টি, এসি স্লিপার-২টি, নন এসি-৭টি, পাওয়ার কার গার্ড রুমসহ নানাবিধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই নতুন কোচ সংযোজনের কারণে অনেকের ট্রেনে ভ্রমণের আস্থা বাড়বে বলে রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান। ইন্দোনেশিয়ায় তৈরি নতুন এই কোচগুলোর মধ্যে ঢাকা-জামালপুর রুটের ‘জামালপুর এক্সপ্রেস’ ও রয়েছে।