পাকিস্তান যেতে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা

রবিবার দুপুর দুইটায় মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তান সফরের জন্য অনুশীলন শুরু করে বাংলাদেশ। ১০ মিনিটের মাথায় মাঠে হাজির হন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ৮-১০ মিনিট আলাদা করে আলাপ করেন তিনি।

নিরাপত্তা ইস্যুতে পাকিস্তান সফরের ভাগ্য ঝুলছিল। গেল সপ্তাহে দুই বোর্ড সমোঝতায় পৌঁছে। ২২ জানুয়ারি রাতে পাকিস্তানের বিমান ধরতে হবে বাংলাদেশ দলকে।

২৪ জানুয়ারি সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। পাকিস্তান পৌঁছে একদিন বিশ্রাম পাবেন তামিম-মাহমুদউল্লাহ। জানা গেছে, পাকিস্তান যেতে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিসিবি। কোন বিমানে পাকিস্তান যাবে বাংলাদেশ দল, সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

এসব নিয়ে কথা বলতেই রবিবার মিরপুরে হাজির হয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি। দুপুরে তিনি ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলাপ করেছেন পাকিস্তান যাওয়া নিয়ে। দলের সঙ্গে যেতে না পারলেও বিসিবি সভাপতি খেলোয়াড়দের সাহস দিয়েছেন সেখানে যাওয়া নিয়ে।

দলকে নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে মানা করেছেন নাজমুল হাসান। বিসিবি সভাপতির পাশাপাশি কয়েকজন পরিচালক ও টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা পাকিস্তান যাচ্ছেন। তবে তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা পাকিস্তান যেতে আগ্রহী নন।

পাকিস্তান যাওয়া নিয়ে পাপন বলেন, ‘আমার আবার ইমার্জেন্সি কাল রাতে একটু দেশের বাইরে যেতে হচ্ছে। আবার আমি চলে আসব ২২ তারিখে। তাই আমি ওদের সাথে যেতে পারছি না। তো ওরা আবার ভাববে যে আমি আবার অন্য কোথাও চলে যাচ্ছি।’

‘আমি বলছি যে, আমি ২৩ তারিখ ওখানে গিয়ে তোমাদের সাথে দেখা করব। নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। টি-টোয়েন্টি চাপের খেলা। প্রতি সেকেন্ডে, প্রতি বলে খেলা ঘুরে যায়। তো এটাই ওদের বললাম যে ঠাণ্ডা মাথায় খেলবে। ইনশাআল্লাহ কিচ্ছু হবে না। আমি আসছি। একসাথে থাকব, একসাথে খাব। কোনো অসুবিধা নেই।’ আরও যোগ করেন বিসিবি সভাপতি।

২৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। ২৫ এবং ২৭ জানুয়ারি একই ভেন্যু লাহোরে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ খেলে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ। ফেরার ১০ দিন দল পর বাংলাদেশ দল আবারও পাকিস্তান যাবে একটি টেস্ট খেলতে। সিরিজের তৃতীয়ভাগ অনুষ্ঠিত হবে এপ্রিলে। যেখানে একটি টেস্ট এবং একটি ওয়ানডে খেলবে দুই দল।