শেখ হাসিনার গাড়িবহরে গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা, রায়ে ৫ পুলিশের ফাঁসি

রাচার এরশাদ সরকারের আমলে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভার আগে গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা মামলার রায়ে পাঁচজনকে ফাঁসি দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ (ভারপ্রাপ্ত) ইসমাইল হোসেনের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় পর এ মামলার রায় হলো।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি শবু প্রকাশ বিশ্বাস আজ রায়ের পর বলেন, ৫৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। তাঁদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। পৃথক আরেকটি ধারায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

১৯৮৮ সালের ২৪শে জানুয়ারির ওই ঘটনায় ২৪ জন মানুষ মারা যান।

গুলিবর্ষণের পর আইনজীবীরা মানববেষ্টনি তৈরির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে রক্ষা করে তাকে আইনজীবী সমিতি ভবনে নিয়ে গিয়েছিলেন।

বিভাগীয় বিশেষ আদালতের দায়িত্বে থাকা বিচারক চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন বিকাল তিনটার কিছু পরে রায় ঘোষণা করেন।

তিনি সেসময় এই হত্যাকান্ডকে পরিকল্পিত গণহত্যা বলে উল্লেখ করেন।

এর আগে রোববার এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আত্মসমর্পণকারী চার আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।

বাকী একজন আসামী পলাতক। এরা সবাই সেসময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ বা সিএমপি-তে কর্মরত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা সবাই পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তারা হচ্ছেন:

১. মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক কনস্টেবল

২. প্রদীপ বড়ুয়া, সাবেক কনস্টেবল

৩. শাহ মো. আবদুল্লাহ, সাবেক কনস্টেবল

৪. মমতাজ উদ্দিন, সাবেক কনস্টেবল

৫. জে সি মণ্ডল, সাবেক পেট্রোল ইনসপেক্টর