ধর্মঘটে একদিনে ক্ষতি প্রায় ২ হাজার ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেছেন, শ্রমিকদের সড়ক অবরোধে রপ্তানিমুখী খাত সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়ে। কিন্তু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যার পরিমাণটা দ্রুত নির্ধারণ করাও সম্ভব নয়।

অবরোধে দেশের সব খাতেই ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে এবং ৮ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে জিডিপির ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ প্রয়োজন। এই বিনিয়োগ পেতে হলে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।

ঢাকা চেম্বারের হরতাল ও অবরোধের ক্ষতি সংক্রান্ত এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিদিনের হরতাল কিংবা অবরোধে কৃষি খাতে ২৮৮ কোটি, পোলট্রি খাতে ১৮ কোটি ২৮ লাখ, হিমায়িত খাদ্য খাতে ৮ কোটি, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ৩০০ কোটি, পর্যটনশিল্পে ২০০ কোটি, আবাসন ও নির্মাণ খাতে ২৫০ কোটি, শপিং কমপ্লেক্সসহ দোকানপাট খাতে ১৫০ কোটি, প্লাস্টিক পণ্য খাতে ১৭ কোটি ৮৫ লাখ, বীমা খাতে ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।

অবরোধের ফলে চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিল্পকারখানায় কাঁচামাল সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। বিভিন্ন স্থলবন্দর থেকে ব্যবসায়ীরা আমদানি পণ্য খালাস করতে না পারায় প্রতিদিন অন্তত ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।

একই সঙ্গে চট্টগ্রামসহ সকল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের ব্যবসাবাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। আর এ ধরনের স্থবিরতা কানোভাবেই কাম্য নয়। একদিনের অবরোধের ফলে অনেক বিদেশি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি তাদের বৈঠকও বাতিল করেছে বলে জানান তিনি।

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, একদিনের অবরোধে ৭০০ কোটি টাকার পোশাক রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়। শুক্র, শনি দেশে সরকারি ছুটি আর রবিবার আন্তর্জাতিক ছুটি বিধায় সপ্তাহে মাত্র ৪ দিন সময় পায় ব্যবসায়ীরা। এমন অবস্থায় একদিনের অবরোধ পোশাক খাতে বিশেষ করে রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোতে চরম ক্ষতি ডেকে এনেছে।