নিজের অভিশংসন ইস্যুতে চলা তদন্তে সাক্ষ্য দিতে চান ট্রাম্প

মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি পরিষদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন ইস্যুতে প্রকাশ্য শুনানি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে নিজের বিরুদ্ধে চলা তদন্তে সাক্ষ্য দিতে চান মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট।

কর্তৃপক্ষের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা ‘রয়টার্স’ জানায়, সোমবার (১৮ নভেম্বর) এক টুইট বার্তায় শুনানিতে সাক্ষ্য দেওয়ার বিষয়ে নিজের ইচ্ছার কথা জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘আমি অভিশংসন তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য দিতে চাই। যদিও ইউক্রেন ইস্যুতে কোনো ভুল কিছুই করিনি।’

টুইটার বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি, এমনকি চলমান তদন্ত প্রক্রিয়ায় আমার আস্থাও নেই। এরপরও কংগ্রেসকে ফোকাস করতে আমি কমিটিতে সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুত। যা খুব ভালোভাবেই চাই।’ যদিও মার্কিন তদন্ত কমিটি এখন পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তলব করেনি।

এ দিকে গণমাধ্যমের দাবি, প্রকাশ্য শুনানি শেষে আগামী সপ্তাহে আরও আটজনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে সাক্ষ্য প্রদানকারীদের অধিকাংশই দাবি করেছেন, গত ২৫ জুলাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের এক ফোনালাপ হয়েছে। যেখানে তিনি জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করেছিলেন।

অপর দিকে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এরই মধ্যে দাবি করেছেন, ইউক্রেনকে ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও সেই কেলেঙ্কারির বিষয়টি ইতোমধ্যে তিনি নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন।

বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে পেলোসি বলেন, ‘গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) শুরু হওয়া গোয়েন্দা বিষয়ক এই কমিটির শুনানি চলাকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনকে ঘুষ সাধার বিষয়টি স্বীকার করেছিলেন। ট্রাম্প দাবি করছেন, ইউক্রেনের সামরিক সহযোগিতা আটকে তিনি ভুল কোনো কিছুই করেননি।’

প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির মতে, ‘এর মানে এসব কাজ করে তিনি মূলত আসন্ন নির্বাচনে তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে একটা ভুয়া তদন্ত শুরুর জন্য ইউক্রেনকে বাধ্য করতে চেয়েছিলেন। যা স্পষ্টতই ঘুষ। এর জন্য তিনি অভিশংসনের যোগ্য।’