সাড়ে ৭ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামের সঙ্গে রেল চলাচল স্বাভাবিক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলস্টেশনে ঢোকার সময় যাত্রীবাহী দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশ। লাইন সংস্কারের কাজ শেষে সাড়ে ৭ ঘণ্টা পর পূর্বাঞ্চল রেলপথের চট্টগ্রামের সঙ্গে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামগামী তূর্ণা নিশীথা (৭৪২) ট্রেন মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন এলাকা ধীরে ধীরে অতিক্রম করে এ রেলপথ দিয়ে। এতে এই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কসবা উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই চট্টগ্রামের সঙ্গে সিলেট ও ঢাকার রেলযোগাযোগ বন্ধ ছিল।

আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের কেবিন মাস্টার মো. হাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, তূর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর সোনার বাংলা সকাল ৯টা ১৩ মিনিটে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি শেষে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায়।

এদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী চট্টগ্রাম মেইল (২নং ডাউন) রাত ৩টা ২০ মিনিটে, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী জালালাবাদ এক্সপ্রেস (১৪নং ডাউন) ৬টা ৫৫ মিনিটে এবং ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নোয়াখালীগামী নোয়াখালী এক্সপ্রেস (১২নং ডাউন) ট্রেনটি রাত ২টা থেকে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে অবস্থান করছেন।

আখাউড়া কেবিন সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে সকাল ৭টায় সুবর্ণ এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশে ঠিক সময়ে ছেড়ে এসেছে। ট্রেন দুর্ঘটনাস্থলে আসার আগেই লাইন সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। ট্রেনটি শশী দল স্টেশনে অবস্থান করছে।

অন্যদিকে মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন দুর্ঘটনাকবলিত তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটি জালালাবাদ ট্রেনের ইঞ্জিনে করে বেলা ১১টা ৩২ মিনিটে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে প্রবেশ করে।

আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের কেবিন মাস্টার মো. হাফিজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, দুর্ঘটনা এলাকায় রেললাইন সংস্কার শেষ হওয়ায় আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনসহ বিভিন্ন স্টেশনে আটকেপড়া ট্রেনগুলো বিলম্বে চলাচল শুরু হয়েছে।