ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১০ জনের পরিচয় মিলেছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলস্টেশনে ঢোকার সময় যাত্রীবাহী দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশ। নিহতদের হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে তাদের পরিচয় শনাক্ত করছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সদস্যরা। 

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় জানা গেছে। বাকি ছয় জনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

দুর্ঘটনাস্থলের কাছে বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চ বিদ্যালয়ে খোলা অস্থায়ী ক্যাম্প থাকা ১০টি লাশের মধ্যে স্বজনদের কাছে চারটি লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশ হস্তান্তরের সময় প্রত্যেকের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার করে টাকা দিচ্ছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামসুজ্জামান। বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চ বিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে মানুষের ভিড়

পরিচয় পাওয়া নিহত ১০ জন হলেন−চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের পশ্চিম রাবাজগাঁও মুজিবুল রহমান (৫৫), হবিগঞ্জের ভোল্লার ইয়াছিন (১২), চুনারুরঘাটের তিরেরগাঁওয়ের সুজন আহমেদ (২৪), মৌলভীবাজারের জাহেদা খাতুন (৩০), চাঁদপুরের কুলসুম বেগম (৩০), হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের আল-আমিন (৩০), হবিগঞ্জের আনোয়ারপুরের আলী মোহাম্মদ ইউসুফ (৩২), হবিগঞ্জের বানিচংয়ের আদিবা (২), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সোহামনি (৩), চাঁদপুরের উত্তর বালিয়ার ফারজানা (১৫)।

স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, তূর্ণা নিশীথা ট্রেনকে মন্দবাগ রেলস্টেশনে দাঁড়ানোর জন্য সিগন্যাল দেওয়া হয়। ওই সিগন্যালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস প্রধান লেন থেকে ১ নম্বর লাইনে যেতে শুরু করে। ট্রেনটির ছয়টি বগি ১ নম্বর লাইনে উঠতে পেরেছিল। অন্য বগিগুলো প্রধান লেনে থাকা অবস্থায় তূর্ণা নিশীথা সিগন্যাল অমান্য করে। এতেই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে এখন পর্যন্ত পাঁচটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেললাইন থেকে বগি সরানোর কাজ করছে দু’টি রিলিফ ট্রেন। এছাড়া পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ করছে। দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে এক লাখ টাকা এবং আহতদের ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।