নিহতদের হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে করা হচ্ছে পরিচয় শনাক্ত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলস্টেশনে ঢোকার সময় যাত্রীবাহী দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশ। নিহত ১৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতদের হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে তাদের পরিচয় শনাক্ত করছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সদস্যরা।
সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কসবা উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া যায়, তারা হলেন- হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মদনমোরাদ এলাকার আইয়ুব হোসেনের ছেলে আল আমিন (৩৫), আনোয়ারপুর এলাকার মো. হাসানের ছেলে আলী মো. ইউসুফ (৩৫), চুনারুঘাট উপজেলার পীরেরগাঁও এলাকার সুজন (২৪), চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজাগাঁও এলাকার মজিবুর রহমান (৫০) ও তার স্ত্রী কুলসুমা (৪২)।
এদিকে এ দুর্ঘটনার পর থেকেই চট্টগ্রামের সঙ্গে সিলেট ও ঢাকার রেলযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশের ওসি শ্যামল কান্তি দাস জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে আসামাত্রই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দুই ট্রেনেরই কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে নেয়ার পর এখন পর্যন্ত ১৬ জন মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগির নিচে আরও মরদেহ থাকতে পারে। উদ্ধারকাজ চলছে।
ইতিমধ্যে রেলওয়ে ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঘটনা তদন্তে তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে আখাউড়া থেকে রিলিফ ট্রেন দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উদয়ন এক্সপ্রেসের মাঝ বরাবর দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে রয়েছে। সেখানে কেউ আটকে পড়ে আছে কিনা, তা বোঝার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা।
দুর্ঘটনাটি ঘটার সময় ট্রেন দুটি চলন্ত অবস্থায় ছিল। এ ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট-চট্টগ্রামের মধ্যে রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।