দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় তূর্ণা এক্সপ্রেসের চালক-গার্ডসহ ৩ জন বরখাস্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলস্টেশনে ঢোকার সময় যাত্রীবাহী দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশ। দুর্ঘটনায় তূর্ণা এক্সপ্রেসের চালক, সহকারী চালক ও পরিচালককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে তাদের বরখাস্ত করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মিয়া জাহান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, তূর্ণা এক্সপ্রেসের চালক সিগন্যাল অমান্য করে ভুল লাইনে চলে যাওয়ার দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার কারণে ওই ট্রেনের চালক, সহকারী চালক ও পরিচালক (গার্ড) তিন জনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে আসামাত্রই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দুই ট্রেনেরই কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়।

ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে নেয়ার পর এখন পর্যন্ত ১৬ জন মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগির নিচে আরও মরদেহ থাকতে পারে। উদ্ধারকাজ চলছে।

ইতিমধ্যে রেলওয়ে ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঘটনা তদন্তে তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে আখাউড়া থেকে রিলিফ ট্রেন দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উদয়ন এক্সপ্রেসের মাঝ বরাবর দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে রয়েছে। সেখানে কেউ আটকে পড়ে আছে কিনা, তা বোঝার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা।

দুর্ঘটনাটি ঘটার সময় ট্রেন দুটি চলন্ত অবস্থায় ছিল। এ ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট-চট্টগ্রামের মধ্যে রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।