অধিনায়ক সাকিবের বিরুদ্ধে রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ

বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আইসিসি। তিনবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও না জানানোয় তার বিরুদ্ধে এ শাস্তির ব্যবস্থা নিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।

তবে, দোষ স্বীকার করার কারণে, তার বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়ে ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছে আইসিসি। আইসিসির পক্ষ থেকেই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আগামী বছরের ২৯ অক্টোবরের পর থেকে তিনি সব ধরনের ক্রিকেট খেলতে পারবেন।

এর আগে পরপর তিনবার ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব গোপন করেছিলেন সাকিব আল হাসান। প্রথমবার গোপন করেছিলেন বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ট্রাইনেশন সিরিজে অথবা ২০১৮ সালের আইপিএলে। সেবারও জুয়ারিদের কাছ থেকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু তা আইসিসিকে অবহত করেনি সাকিব। ওই একই সিরিজে আবারো ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়ে তা গোপন করেন। তৃতীয়বার ২০১৮ সালের আইপিএলে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম পাঞ্জাব ম্যাচে পাতানোর প্রস্তাব পান তিনি। সেটিও গোপন করে যান সাকিব।

আইসিসি জানিয়েছে, সাকিব নিজে তার দোষ স্বীকার করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (আকসু) শুনানিতে নিজের নিষেধাজ্ঞার ওপর একমত হয়েছেন তিনি। তার বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়ে তার সাজা এক বছর কমানো হয়েছে। আগামী বছরের ২৯ অক্টোবরের পর থেকে তিনি সব ধরনের ক্রিকেট খেলতে পারবেন।

আইসিসিকে সাকিব বলেন, ক্রিকেট না খেলতে পারাটা দুঃখজনক। তবে আমার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে আমি তা মেনে নিচ্ছি। আমি ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি আকসুকে জানাইনি। নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করিনি। পৃথিবীর অন্যান্য খেলোয়াড়দের মতো আমিও দুর্নীতিমুক্ত ক্রিকেট চাই। আশা করি আমার মতো ভুল ভবিষ্যতে আর কেউ করবে না।

আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার আলেক্স মার্শাল বলেন, সাকিব তার ভুল স্বীকার করেছে। তরুণরা যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজে জড়িয়ে না পড়ে সে এ নিয়ে কাজ করবে বলে জানিয়েছে। তার এই প্রস্তাব পেয়ে আমরা আনন্দিত।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেলে আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনু সোহানি স্বাক্ষরিত এক আদেশে তার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।