আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ-দার্জিলিং ট্রেন চালু হচ্ছে দীর্ঘ ৫৪ বছর পর

দীর্ঘ ৫৪ বছর পর আগামী জুলাই মাসে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি ট্রেন চলাচল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করবেন। 

শনিবার দুপুরে নীলফামারীর চিলাহাটি রেল স্টেশনে ‘ভারতের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে চিলাহাটি এবং চিলাহাটি বর্ডারের মধ্যে ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

এর আগে এখানে রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

এ সময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম, ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব (ভারপ্রাপ্ত) মজিবুর রহমান।

রেলমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় চিলাহাটি-হলদিবাড়ি ট্রেন রুটটি চালু হচ্ছে। এই পথ দিয়ে সহজেই এই অঞ্চলের মানুষ দার্জিলিং এবং কলকাতা যেতে পারবেন।

১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর এই রেলপথটি বন্ধ হয়ে গেলে আর চালু হয়নি। বাংলাদেশ-ভারত সরকারের উদ্যোগের ফলে সোনালী যুগ হিসেবে প্রসারিত হবে এই রেলপথ।

ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস বলেন, ভারত সরকার বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিয়ে আসছে। রেলপথ চালু হলে ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণসহ বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নীলফামারীর জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক খন্দকার শহিদুল ইসলাম, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের চেয়ারম্যান গোলাম আলমগীর ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের মহাসচিব সরকার ফারহানা আকতার সুমি প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে বর্ডার পর্যন্ত পৌনে সাত কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণে সরকারের ব্যয় হবে ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। আগামী বছরের জুলাইয়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।