মসজিদের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়া ছাত্রলীগ নেতাকে শোকজ

চাঁদা না পেয়ে মডেল মসজিদের নির্মাণকাজ বন্ধ করা এবং ঠিকাদারকে মারধরের ঘটনায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাসফিকুর রহমান সাকিবকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। শুক্রবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান আকতার ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ রায়হান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শোকজের বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে তেঁতুলিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাসফিকুর রহমান সাকিবের নামে বেশ কিছু অভিযোগ প্রকাশিত হয়েছে। যা সংগঠনের শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। তার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- জানতে চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সভাপতি ও সম্পাদকের কাছে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

তেঁতুলিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাসফিকুর রহমান সাকিবের বিরুদ্ধে চাঁদা না পেয়ে মডেল মসজিদের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। চাঁদার জন্য ঠিকাদারসহ তার লোকজনকে মারধর করে মসজিদের নির্মাণকাজ বন্ধের বিষয়টি জানিয়ে বৃহস্পতিবার থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়।

ঠিকাদারের অভিযোগ, দেশের ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা সদরের ডাঙ্গীবস্তি এলাকায় ৫০ শতক জমির ওপর মডেল মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয়। গণপূর্ত বিভাগের অধীনে ১২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনতলা ভবন বিশিষ্ট মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ করছে রংপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নর্দান টেকনো ট্রেড। কিন্তু কাজ শুরুর প্রাথমিক অবস্থা থেকেই স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাদের বাধার মুখে পড়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

ঠিকাদার নাজমুল হক বলেন, সাকিব ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমরা তা দিতে অস্বীকার করায় বারবার আমাদের কাজ বন্ধ দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে মডেল মসজিদের ভিত্তির ঢালাইয়ের কাজ শুরু হলে সাকিব তার ২০-২৫ জন সহযোগী নিয়ে হাজির হয়ে বলেন, কাজ শুরুর অনুমতি কে দিলো বলেই ভাঙচুর শুরু করেন। তারা আমাদের মারধর করে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাসফিকুর রহমান সাকিবকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়।

জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আকতারুজ্জামান আকতার বলেন, মসজিদের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়ার কারণ জানতে চেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাকিবকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। সঠিক ব্যাখ্যা দিতে না পারলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।