রাবিতে হলের খাবারে পাওয়া গেল বড়শির হুক, শিক্ষার্থীদের ভাংচুর

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবাব আব্দুল লতিফ হলের ডাইনিং এ খাবারে মাছ ধরা বড়শির হুক পাওয়া গেছে। তারই প্রতিবাদে হলের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করেছে আবাসিক শিক্ষার্থীরা।শুক্রবার দুপুর ১২ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত চলা এ আন্দোলনের এক পর্যায়ে ডাইনিং এর আসবাবপত্র, সিসিটিভি ক্যামেরা, হল অভ্যন্তরের চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

হল সুত্রে জানা যায়, হলের আবাসিক ও বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন ডাইনিং এ মাছভর্তা দিয়ে খাবার খেতে গিয়ে ভর্তায় মাছ ধরা বড়শির হুক পায়। পরে ব্যাপারটা ডাইনিং এ অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে জানাজানি হলে তারা রেগে গিয়ে ডাইনিং এর আসবাবপত্র ভাংচুর শুরু করে। পরে হলের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে হলের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ ও ভাংচুর শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে হল প্রাধক্ষ্য ড একরাম হোসেন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থামানোর জন্য ঘটনাস্থলে আসলেও তাকে ঢুকতে না দিয়ে গেটের বাইরে দাড় করিয়ে রাখানো হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড লুৎফর রহমান সেখানে গিয়ে প্রাধ্যক্ষসহ তিনি শিক্ষার্থিদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ ঘটনায় চিকিৎসা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও হলের আবাসিক শিক্ষক সাইফুর রহমানকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা হল প্রাধ্যক্ষ ড একরামুল হোসেন এর নিকট ১৫ দফা দাবি পেশ করলে দাবি মেনে নিয়ে সমস্যা নিরসনের আশ্বাস দেন তিনি।

হলের আবসিক শিক্ষার্থী নির্ঝর বলেন, হল প্রাধ্যক্ষ শুধু আশ্বাসই দেয়। কিছুই বাস্তবায়ন করে না। আন্দোলন এর আগেও হয়েছে, কিন্তু ফল মেলেনি।

নবাব আব্দুল লতিফ হল প্রাধ্যক্ষের কাছে গেলে তিনি জানান, ঘটনা শুনেই হলে উপস্থিত হই। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘঠন করা হয়েছে এবং সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছি। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের উল্লিখিত দাবিগুলো দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।(ছবি সংযুক্ত)

নাইম উল জাওয়াদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি