স্কুল-কলেজের মতোই মাদরাসার শিক্ষকরাও সুযোগ পাবেঃ অর্থমন্ত্রী

মাদরাসার নবসৃষ্ট পদে নিয়োগে অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, স্কুল-কলেজের মতোই মাদরাসার শিক্ষকরাও সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে কোন ধরণের বৈষম্য করা হবে না। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। তাই বিষয়টি নবসৃষ্ট পদে নিয়োগের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। 

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮-এর নতুন সকল পদসমূহে চলতি অর্থবছরেই শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দানে প্রয়োজনীয় অর্থবরাদ্দের আবেদন জানান বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীন ও মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শেরে বাংলানগরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে লিখিত আবেদন পেশ করেন নেতৃবৃন্দ। এ সময় মাদরাসায় নবসৃষ্ট পদে নিয়োগে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন অর্থমন্ত্রী।

এমনটাই জানিয়েছেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী।

আ হ ম মুস্তফা কামাল নেতৃবৃন্দকে বলেন, অর্থসচিব দেশের বাইরে আছে উনি আসলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো। মাদরাসার উন্নয়নে দ্রুত সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হবে।

অর্থমন্ত্রীর কাছে আবেদনে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন জানিয়েছে, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছায় মাদরাসা শিক্ষার ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে, এ জন্য আমরা মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।

১৯৯৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জারীকৃত জনবল কাঠামো অনুযায়ী বর্তমান পর্যন্ত মাদরাসা, শিক্ষক কর্মচারী ও শিক্ষক কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন। ১৯৯৫ সালে মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা এইচএসসি সমমানের ছিল এবং সে হিসেবেই শিক্ষক-কর্মচারী মাদরাসায় কর্মরত আছেন।

বর্তমান সরকারের আমলে মাদরাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তি, ইংরেজি, বাংলা, বিজ্ঞান, সমাজকল্যাণ, অর্থনীতি, পৌরনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয় বাধ্যতামূলক করে মাদরাসা শিক্ষাকে অনার্সসহ মাস্টার্স স্তর (এম এ) পর্যায়ে উন্নীত করা হয়েছে।

এরই আলোকে সিলেবাস, কারিকুলাম, প্রণয়ন করে পাঠদান চলছে। কিন্তু দুঃখের ১৯৯৫ সালে জারীকৃত এইচএসসি মানের শিক্ষক দ্বারাই মাদরাসাগুলো পরিচালিত হচ্ছে। বিষয়টি অনুধাবন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালে নতুন জনবল কাঠামোসহ এমপিও নীতিমালা প্রণয়ন করেন। যা অর্থমন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও অতিরিক্ত বাজেট না থাকায় বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। যার ফলে মাদরাসা শিক্ষা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব (অর্থ বিভাগ) বরাবরে পর্যায়ক্রমে ৪ বছরে নতুন পদে শিক্ষক নিয়োগের অর্থ বরাদ্দের পত্র দেয়া হয়। আমরা মনে করি পর্যায়ক্রমে আগামী চার বছরে শিক্ষক নিয়োগ করা হলে মাদরাসা শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই চলতি অর্থ বছনে নতুন সৃস্ট পদে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার আবেদন জানান।

উল্লেখ্য, স্কুল-কলেজে ২০১৮ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী চলতি বছরে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মাদরাসা শিক্ষায় এখনো এ নীতিমালা বাস্তবায়ন হয়নি।