হারিয়ে যাওয়ার ৯ মাস পর ৬ বছরের কন্যা শিশুকে ফিরে পেলো মা-বাবা
বগুড়া থেকে হারিয়ে যাওয়ার নয় মাস পর ছয় বছরের শিশু কন্যা রানীকে দিনাজপুর থেকে ফিরে পেলো বাবা-মা। ২৪ আগস্ট শনিবার বিকালে বিরামপুর উপজেলার কলেজ বাজার পেট্রোল পাম্প এলাকা স্থানীয়রা কান্নারত অবস্থায় শিশুটিকে দেখে। তারা শিশুটির বাসার ঠিকানাসহ বাবা মায়ের কথা জানতে চায়। অনেক চেষ্টা করেও শিশুটির কান্না থামানো যায়না।
পরে বিরামপুর থানায় এনে মেয়েটিকে আদর করে তার নাম জানতে চাইলে সেখানেও অঝোরে কাঁদতে থাকে। এক পর্যায়ে কান্নার রেশ কিছুটা কমলে তার নাম জানতে চাইলে সে বলে আনী (রানী), বাবার নাম বলে আনা (রানা) ও পরে মায়ের নাম জানায় লিপি। বাড়ির ঠিকানা বলে বগুড়া সাতমাথা।
বিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, আমরা বগুড়া সদর থানায় খবর নিয়ে জানতে পারি গত বছর ২ডিসেম্বর অর্থাৎ ৯ মাস আগে সে বগুড়া সাতমাথার জয়পুরপাড়া থেকে হারিয়ে যায়। পরে অনেক খোজাখুজির পর না পেয়ে সংস্লিষ্ট থানায় জিডি করেন। সেখানকার পুলিশ শহরের সিসি টিভি ফুটেজের সাহায্যে বাচ্চাটিকে খুজতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
এদিকে সন্তানের খবর পেয়ে হারিয়ে যাওয়া শিশু রানীর বাবা রানা ও মা লিপি পরদিন রবিবার ছুটে আসে দিনাজপুরের বিরামপুর থানায়। তাদের কন্যা শিশু সন্তানকে দেখে জড়িয়ে ধরে তিনজনই দীর্ঘক্ষন কাঁদতে থাকে। এরকম দৃশ্য দেখে থানায় উপস্থিত সকলের চোখের জল ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
এতো দিন শিশুটি কোথায় ছিলো জানতে চাইলে ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, এই মুহুর্ত শিশুটির কাছে কোন তথ্য নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। তবে শিশুটি স্বাভাবিক হলে কৌশলে তার কাছে জানার চেষ্টা করা হবে এবং তখন হয়তো হারিয়ে যাওয়ার রহস্য জানা যাবে।
শিশু রানীর বাবা পেশায় একজন ভ্যান চালক ও মা লিপি গৃহিনী। শিশু রানী বর্তমানে বাবা মায়ের সাথে বগুড়া সাতমাথায় তার নিজের বাড়িতে নিরাপদে চলে গেছে।
ফখরুল হাসান পলাশ, দিনাজপুর প্রতিনিধি