তাড়াইলে মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত হাফেজ মওলানা আবদুল্লাহ (২৪) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে তাড়াইল থানা পুলিশ।
জানা যায়, কয়েক মাস আগে সেকান্দরনগর গ্রামের বাসিন্দা ১০ বছর বয়সী শিশুটিকে তার পিতা ‘হযরত শাহ সেকান্দর আওলিয়া কওমী মাদ্রাসায়’ নাজেরা শ্রেণিতে ভর্তি করান।শিশুটির পিতা ঢাকায় কাজ করার সুবাদে বাড়ির পাশের ওই মাদ্রাসায় আবাসিক ছাত্র হিসেবে থাকতো শিশুটি।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাতে প্রতিদিনের মতো মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্ররা ঘুমাতে যায়।শিক্ষক হাফেজ মওলানা আবদুল্লাহ ওই ছাত্রকে কৌশলে ডেকে নিয়ে বলাৎকারের চেষ্টা করেন।এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ওই ছাত্রকে ভয়ভীতি দেখান।পরদিন শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে বিষয়টি মাদ্রাসার অন্য শিক্ষার্থীরা জেনে যায়। যৌন নিপীড়নের শিকার শিশুটি বাড়িতে গিয়ে অভিভাবককে বিষয়টি জানায়।
শিশুটির অভিবাবক মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা পরিষদকে জানায়।বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবাসিক শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে।এবং এলাকাবাসী বিষয়টি জানার পর মাদ্রাসা ঘেরাও করে। তারা অভিযোগ ওঠা শিক্ষক আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার ও তাঁর শাস্তি দাবি করেন।উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটকে রেখে থানায় খবর দেয় পরিচালনা পর্ষদ।
খবর পেয়ে তাড়াইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আমিনুল হাসান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি ভুক্তভোগী ছাত্র ও অন্য শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে উপস্থিত জনতার বিক্ষোভের মুখে অভিযোগ ওঠা শিক্ষককে উদ্বার করে শুক্রবার(২আগষ্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় আটক দেখিয়ে থানায় নিয়ে আসেন।
গ্রেপ্তার হওয়া হাফেজ মওলানা আবদুল্লাহ উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের বরুহা গ্রামের মো. গেন্দু মিয়ার ছেলে এবং ‘হযরত শাহ সেকান্দর আওলিয়া কওমী মাদ্রাসা’র শিক্ষক।
তাড়াইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুজিবুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতেই মাদ্রাসার ওই শিক্ষক আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ৩৭৭/৫১১ ধারায় শিশুটির মা বাদী হয়ে আজ শুক্রবার (২আগষ্ট) একটি মামলা দায়ের করেছেন।মামলা নম্বর ০২।
মুকুট দাস মধু, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি