বাড্ডার রেনু হত্যার প্রধান আসামি হৃদয় গ্রেফতার
ঢাকার বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত তাছলিমা বেগম রেণু হত্যার প্রধান আসামি হৃদয়কে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-পূর্ব) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসাদুজ্জামান।
এ বিষয়ে আগামীকাল বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে বিকালে গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজারের সামনে থেকে হৃদয় সন্দেহে এক যুবককে আটক করা নিয়ে নানা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। পরে জানা যায়, ওই যুবকের নাম আল আমিন।
এ বিষয়ে গোলাপ শাহ ট্রাফিক পুলিশ বক্সের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) সাগর জানান, বাসে উঠে একলোক এক যুবককে দেখে হৃদয় বলে সন্দেহ হয় বলে আমাদের জানান। তাৎক্ষণিক আমরা ওই যুবককে পুলিশ বক্সে এনে যাচাই-বাছাই করি। কিন্তু হৃদয় বলে নিশ্চিত না হওয়ায় তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, বিভিন্নভাবে হৃদয়ের সঙ্গে আটক যুবককে মিলানো হয়, কিন্তু কোন মিল খুঁজে না পাওয়ায় তাকে রাত ৯টার দিকে বাড্ডা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
রাতে বাড্ডা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইয়াছিন গাজী বলেন, আটককৃত যুবকের নাম আল-আমিন। বিষয়টি আমরা অধিকতর খতিয়ে দেখেছি। তবে নিশ্চিত সে হৃদয় না।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন তাসলিমা বেগম। তার দুই সন্তানের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে স্কুলের গেটে কয়েকজন নারী তাসলিমার নাম-পরিচয় জানতে চান। পরে লোকজন তাসলিমাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নেন। কিছুক্ষণের মধ্যে বাইরে কয়েকশ লোক একত্র হয়ে তাসলিমাকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে যায়। স্কুলের ফাঁকা জায়গায় নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর করায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তাসলিমার বোনের ছেলে সৈয়দ নাসিরউদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় অজ্ঞাতনামা চারশ থেকে পাঁচশ মানুষকে আসামি করে মামলা করেন।