‘আগামীতে রেল যোগাযোগ খাতে বিদ্যুৎচালিত ট্রেন চলবে’

আগামীতে আমাদের দেশে রেল যোগাযোগ খাতে বিদ্যুৎচালিত ট্রেন চলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (১৭ জুলাই) গণভবনে বেনাপোল এক্সপ্রেসের উদ্বোধন ও বনলতা এক্সপ্রেসের রুট বাড়ানোর ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আশা প্রকাশ করেন। এদিন ভিডিও কনফারেন্সে ট্রেন দুটোর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম। এখন আমাদের বিদ্যুৎ ১৬০০০ হাজার মেগাওয়াট। আগামীতে আমাদের দেশে বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এর মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়বে, পণ্য পরিবহনের সুযোগ তৈরি হবে। আমরা অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি হবে। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে ‘

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশে রেল যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিএনপি তো এই খাতটিকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। ক্ষমতায় আসার পর আমরা আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিলাম। যাতে মানুষ রেলের সেবা পেতে পারে। যোগাযোগ ব্যবস্থাটাকে আরও মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া এটি আমাদের লক্ষ্য। আমরা আলাদা মন্ত্রণালয় করে আলাদা বাজেট করে রেল যোগাযোগ খাতটিকে মানুষের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। এভাবে আমরা একটা যোগাযোগ নেটওয়ার্ক করে তুলছি।’

বেনাপোল এক্সপ্রেসের উদ্বোধন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা-বেনাপোল রুট অনেক লম্বা। ঢাকা, টঙ্গি, টাঙ্গাইল, বঙ্গবন্ধু সেতু, সিরাজগঞ্জ, ঈশ্বরদী, পাবনা, ভেড়ামারা, পোড়াদহ, দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ হয়ে যশোর যেতে হয়। ট্রেনে যেতে হয় ৩৭০ কিলোমিটার। আমরা পদ্মা ব্রিজ করছি। পদ্মা ব্রিজে রেলসেতু দিচ্ছি। পদ্মাসেতুর মাধ্যমে ফরিদপুরের ভাঙ্গাকে ফরিদপুর হয়ে যশোরের সঙ্গে লিঙ্ক করে দেব। এতে যাত্রাপথের দূরত্ব কমে যাবে, সময়ও কমে যাবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাজশাহীবাসীর অনেকদিন দাবি ছিল, ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে দেওয়া। আমরা সেটি করে দিচ্ছি। এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক আমাদের রেল লাইনকে নতুন জীবন দানে সহায়তা করেছে। পুরনো ব্রিজগুলো নতুন করা দরকার। পাশাপাশি উপযুক্ত লোকবল আমাদের তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।’