ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ‘রান বাংলাদেশ’

‘রান বাংলাদেশ’ আইডিয়া, শুনে হয়তো অবাক লাগবে এই আইডিয়ার বিশেষত্ব বা উদ্দেশ্য কি। মূলত পর্যটন ভিত্তিক বাংলাদেশকে সকলের সামনে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে এ ধরনের একটি প্রকল্পের উদ্যোগ গ্রহণ যার মুলে রয়েছেন মজিবুর রহমান রানা। তিনি পেশায় একজন ফ্রিলেন্সার। তার সখ হচ্ছে ছবি তোলা। আর তার তোলা ছবির মাধ্যমেই দেশের পর্যটন ভিত্তিক স্থান, উল্লেখযোগ্য তথ্যাদি ও উন্নয়ন মূলক প্রকল্পগুলো সকলের সামনে তুলে ধরতেই তার এই ‘রান বাংলাদেশ’ আইডিয়ার উদ্যোগ গ্রহণ।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে 'রান বাংলাদেশ'

মজিবুর রহমান রানার বাড়ি সিরাজগঞ্জ। কিন্তু তিনি ১০ বছরেরও অধিক সময় ধরে বসবাস করছেন কক্সবাজারে। এই দীর্ঘ ১০ বছরে তিনি ছুটে বেরিয়েছেন কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায়। ক্যামেরাবন্দি করেছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা কক্সবাজারকে। শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয়, আমাদের বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন মূলক প্রকল্পেরও ছবি রেখেছেন তিনি তার ভাণ্ডারে।

স্বাধীন বাংলাদেশকে পর্যটকদের কাছে বিশ্বের অন্যতম পর্যটন নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের সংবিধানে ১৪৩ নং আদেশের মাধ্যমে একটি পর্যটন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠানটি ঐতিহ্য ও পর্যটন আকর্ষণীয় স্থাপনাসমূহ দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে প্রচার এবং পর্যটন সেবা প্রদান করেও আশানুরুপ ফলাফল দেখেনি বাংলাদেশ।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন অনুযায়ী বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে এ পর্যটন খাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে উৎসায়িত করা ও নতুন পর্যটন আকর্ষণীয় এলাকা চিহ্নিতকরণ এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরির কাজ করছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সেই ধারাবাহিকতার সাথে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ‘রান বাংলাদেশ’ যার মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যেই হলো ‘ডিজিটাল ট্যুরিজাম’। বর্তমান সরকারের উদ্যোগে যে উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে তা খুব সহজে অল্প সময় অল্প খরচে জনগণের কাছে পৌঁছাতেই ‘রান বাংলাদেশ’ এর উদ্যোগ গ্রহণ।

সরকারি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের মধ্যে জালিয়ার দ্বীপ, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক এমনকি রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের প্রায় প্রতীটি  মুহূর্তই ধরা পরেছে তার ক্যামেরায়। এখন পর্যন্ত নিজের তোলা প্রায় ৫ লাখেরও বেশি ছবি রয়েছে তার সংগ্রহে। শুধু কক্সবাজারেই নয়। কক্সবাজারের বাইরেও মজিবুর রহমান রানা তার কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন। রোহিঙ্গাদের আবাসের জন্য আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্দীপের ভাসান চরে যে আবাসস্থল প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছেন তার প্রতীতি ছবি ও ভিডিও মজিবুর রহমান রানা সংরক্ষণ করেছেন তার সংগ্রহশালায়।

সরকারের বিভিন্ন ম্যাগাজিন তৈরির ক্ষেত্রে দুর্লভ ও অসাধারণ সব ছবি মজিবুর রহমান রানার সংগ্রহশালা থেকেই আসে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে কক্সবাজারে গৃহীত মেগা প্রকল্পের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ‘রান বাংলাদেশ’। সরকারের এবারের ইস্তেহারে উল্লেখযোগ্য বিষয় গ্রামেই শহরের সেবার সহায়ক হিসেবেও একটি বড় আইডিয়া নিয়ে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল ট্যুরিজম বাস্তবায়নে কাজ করছে ‘রান বাংলাদেশ’।

ইউনিয়ন পর্যায়ে থেকেও কিভাবে কতটা সহজে ডিজিটাল টুরিজম সেবা পেতে পারে এমনি একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে ‘রান বাংলাদেশ’। মজিবুর রহমান রানা প্রথমে সেন্টমার্টিনে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যেগতা হিসেবে কাজ করে, টেকনাফ উপজেলা টেকনিশিয়ান পদে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক হিসেবে কাজ করে। এর ফলে মাঠপর্যায়ে থেকে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে একটি আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করা হয়, যে আইডিয়াটি কার্যকর করতে পারলে গ্রাম থেকে গ্রাম ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে ডমেস্টিক ট্যুরিজম সেবা পাবে জনগণ।

‘ডিজিটাল ট্যুরিজাম’ বাস্তবায়নের গুরুত্ব ও বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কাজ করার জন্য কক্সবাজার জেলার মাননীয় জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন ‘রান বাংলাদেশ’ প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমতি প্রদান করেন। উন্নয়নশীল, স্বাধীন ও পর্যটন ভিত্তিক বাংলাদেশকে সকলের সামনে তুলে ধরতে ফোটো আর্কাইভ হিসেবে কাজ করছেন মজিবুর রহমান রানা।