রাজধানীতে চলন্ত ট্রেনে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার

প্রলোভন দেখিয়ে রাজধানীর মুগদা হাসপাতালের সামনে থেকে রিকশাযোগে কমলাপুর নিয়ে ট্রেনের ভেতরে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ। আটক যুবকের নাম সম্রাট। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জে।

বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনে ধর্ষণের শিকার ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে ট্রেন যাত্রীরা। বিষয়টি জানতে পেরে প্রথমে বিমানবন্দর থানায় এবং পরে মধ্যরাতে ওই ভুক্তভোগীকে কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে মামলা করা হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুশো বণিক বলেন, ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলা নং ৫। আসামি সম্রাটকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

রেলওয়ে পুলিশ ঢাকা জোনের এএসপি ওমর ফারুক বলেন, ভুক্তভোগীর নানি মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবার বিকেলে হাসপাতালের নিচে নামলে সেখান থেকে বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল ওই কিশোরীর। ওই সুযোগে সম্রাট ফুসলিয়ে তেজগাঁও নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে রিকশাযোগে কমলাপুর রেলস্টেশনে নিয়ে যায়। এরপর কমলাপুরে যমুনা এক্সেপ্রেস ট্রেনের টয়লেটে আটকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।

তিনি আরও বলেন, মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং চলাফেরা অস্বাভাবিক মনে হলে ওই যুবককে আটকে রেখে যাত্রীরা পুলিশে খবর দেয়। চলন্ত ট্রেনটি বিমানবন্দর স্টেশনে স্টপেজ দিলে পুলিশ শিশুটিকে হেফাজতে নেয় এবং সম্রাটকে আটক করে।

এছাড়াও পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ওই শিশুকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত যুবককে আটক করার ক্ষেত্রে পুলিশ গাফিলতি নয় বরং দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। মামলা হয়েছে। ওই যুবককে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে ধর্ষণের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয়।