নিজের অর্ধনগ্ন ছবি পোস্ট করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ইরানের মডেল নেগজিয়া

নিজের অর্ধনগ্ন ছবি পোস্ট করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ইরানের মডেল নেগজিয়া (২৯)। রেভুল্যুশনারি গার্ডস তার ওই ছবিকে অশ্লীল ও নির্লজ্জ বলে আখ্যায়িত করেছে। এ জন্য তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তাকে দেখা গেছে প্যারিসে। নেগজিয়া ওইসব ছবি তুলেছিলেন ২০১৭ সালে। তখন থেকেই তিনি রেভুল্যুশনারি গার্ডসের রোষানলে পড়েন।

তার দাবি, তার অর্ধনগ্ন কতগুলো ছবি একজন ফটোগ্রাফার পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার পর থেকে তিনি এমন রোষে পড়েছেন। তার আশঙ্কা, এর মধ্য দিয়ে ইরানে কঠোরভাবে অনুসরণ করা শরিয়া আইন লঙ্ঘনের দায়ে তিনি কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হবেন।

তাই তিনি জেল হওয়ার ভয়ে প্রথমে পালিয়ে তুরস্কে চলে যেতে বাধ্য হন। সেখান থেকে চলে যান প্যারিসে। ওই প্যারিসেই তিনি নভেম্বর মাসে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। এক্ষেত্রে তাকে জীবনের সঙ্গে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। কারণ, সঙ্গে করে যা সামান্য অর্থ নিয়ে গিয়েছিলেন তা শেষ হয়ে গেছে। কোনো কাজ জুটিয়ে নিতে না পেরে এখন তিনি গৃহহীন। ঘুমানচ্ছিলেন রাস্তায় অথবা কোনো পার্কের বেঞ্চের ওপর।

লা প্যারিসিয়েন পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছে যে, একদিন আমাকে আমার পোশাকসহ একটি ব্যাগ মাত্র ১০ ইউরোতে বিক্রি করে দিতে হয়েছে। কারণ, আমার পেটে তখন অনেক ক্ষুধা। এটা বিক্রি না করলে আমি খাবার কিনতে পারছিলাম না। এত দুর্ভোগ সত্ত্বেও তিনি তার কৃতকর্মের জন্য মোটেও অনুশোচনা করেন না। তিনি বলেন, আমি একজন গর্বিত নারী। আমি বেরিয়ে এসেছি। ভেঙে দিয়েছি আইন।

ফ্রান্সে পৌঁছার পরই নেগজিয়া আশ্রয় চাওয়ার কাগজপত্র সংগ্রহ করতে শুরু করেন। জমা দেন দরকারি সব ডকুমেন্ট। কিন্তু তার বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত করা হয় নি। তার এই কাহিনী ফ্রাঞ্চের মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর একটি অস্থায়ী আশ্রয়শিবিরে তার ঠাঁই হয়েছে। এখন ফরাসি সরকার তার বিষয়টি রিভিউ করছে।