নাটোরে মুখে ওড়না বেধে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরীকে ধর্ষণ
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বাহিমালি গ্রামে ১২ বছর বয়সী সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফুফার বিরুদ্ধে।
ভিকটিমের সৎ মা সোহাগী বেগম জানান, নয় এপ্রিল ঘটনার দিন রাত ১১টার দিকে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত তিনটার দিকে তার ঘুম ভেঙে গেলে দেখেন তার ননদের স্বামী গুলবার ঘরে। তাকে দেখে সঙ্গে সঙ্গে তিনি পালিয়ে যান। পরে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, ফুফা জোরপূর্বক আমার ঘরে প্রবেশ করে।
ভিকটিম জানান, আমাদের বাড়ি ও ফুফার বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় আমরা প্রায় সময়ই মার সঙ্গে ফুফার বাড়িতে টিভি দেখতে যাই। রোজার মাসে ঘটনার দিন রাতে আমি ও আমার মা ফুফার পরিবারের সঙ্গে টিভি দেখছিলাম। হঠাৎ আমার মা সিরিয়াল শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে আমাকে রেখে বাড়িতে চলে আসে। সিরিয়াল শেষ হলে আমিও বাড়িতে চলে আসি, আমার রুমে প্রবেশ করে ঘরের দরজায় খিল দেয়ার সময় হঠাৎ আমার ফুফা ঘরে প্রবেশ করে ওড়না দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে বললে আমাকে আগুনে দিয়ে এবং আমার বাবাকে গুলি করে হত্যা করবে ভয় দেখায়।
ভিকটিমের বাবা জানান, আমি গরীব মানুষ, ঢাকায় রিকশা চালাই। আমার পরিবার আমাকে মোবাইল ফোনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে ঢাকা থেকে নিয়ে এসেছে। ফিরে এসে জানতে পারি এ ঘটনা। আমার প্রথম স্ত্রীর সাথেও তার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। যার কারণে আমার প্রথম স্ত্রী চলে যায়, পরবর্তীতে আমি দ্বিতীয় বিয়ে করি। আমার এই সংসারটাও নষ্ট করতে চায় তিনি। আমি তার শাস্তি দাবী করছি।
অভিযুক্ত গোলবার হোসেন উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের বাহিমালী গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে।
এদিকে ভিকটিমের বড় চাচা ধর্ষণের ঘটনাটি চাপা রাখতে মেয়ের বাবাকে নির্দেশ দেন এবং এক লাখ টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শুনেছি। স্থানীয়ভাবে সুরাহা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।