এসিড মারা হয়েছিল সানজারির গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে!

১০ বছরের প্রেমের সম্পর্ককে পরিণয়ে রূপ দিতে ২০১৭ সালের ১২ মে বৈমানিক পারভেজ সানজারির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সংগীতশিল্পী মিলা। কিন্তু বিয়ের পরই স্বামীর সঙ্গে একাধিক মেয়ের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন তিনি। বিমানবালার সঙ্গে তার স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। বিয়ের পর পাঁচ মাস পার না হতেই বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন এই তারকা।

বিচ্ছেদের পর থেকেই বিভিন্ন সময় নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছুড়াছুঁড়ি করেছেন প্রাক্তন মিলা-সানজারি দম্পতি। এমনকি মিলার বিরুদ্ধে সানজারিকে সারাজীবনের জন্য বিকলাঙ্গ করতে তার গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে এসিড মারার অভিযোগ উঠে।

এসিড নিক্ষেপের বর্ণনা দিয়ে সানজারির ভাই অ্যাডভোকেট আলামিন খান বলেন, ‘ভাইয়া বাইক নিয়ে যাচ্ছিল। এই সময় সামনে এসে পড়ে কিম। বলতে থাকে আমাকে বাঁচান। আমাকে মিলা মেরে ফেলবে। গাড়ি থামাতেই এসিড নিক্ষেপ করে সে। শরীরে এসিড পড়তেই চিৎকার করতে থাকে ভাইয়া। রাস্তার পাশে এক বাড়িতে গিয়ে তাদের সহযোগিতা নিয়ে পানি ঢালতে থাকে গায়ে। তার শরীর যতটা পুড়েছে, সঙ্গে সঙ্গে পানি ঢালা না হলে আরও অনেক অংশ পুড়ে যেত। সানজারির গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করেই এসিড ছোড়া হয়েছিল।‘

তিনি আরো বলেন, ‘কিমের আর্তনাদ শুনে ভাইয়া গাড়ি থামায়। এই সময় সেই রাস্তার অদূরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন মিলা। তাকে দেখেই দুর্ঘটনা আন্দাজ করতে পারেন ভাইয়া। ততক্ষণে এসিড মারা হয়ে গেছে। তার গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে এসিড মারা হয়েছে। যাতে করে সারা জীবনের জন্য সে বিকলাঙ্গ হয়ে যায়।

এটা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। হাত, পেট ও শরীরের আরও বেশ কিছু অংশ এসিডে ঝলসে গেছে। মাথায় হেলমেট পরা অবস্থায় ছিলেন বলে তার মুখে এসিড মারা সম্ভব হয়নি।‘

জানা যায়, গত ২ জুন সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেলযোগে যাওয়ার সময় পথে এই হামলার শিকার হন সানজারী। গত ২ জুন থেকে ৯ জুন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ৬০২ নাম্বার কেবিনে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এরপর ৪ জুন এসিড দমন আইনে গায়িকা মিলার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন পারভেজ সানজারীর বাবা এস এম নাসির উদ্দিন। উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি (নম্বর-৫) দায়ের করা হয়। সেই মামলার এজাহারে মিলা এবং তার সহকারী পিটার কিমকে অভিযুক্ত করা হয়।