ঋতুভেদে ভোটের সময় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন
ঋতুভেদে ভোটের সময় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নতুন নিয়মে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ অর্থাৎ এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ভোট শুরু হবে সকাল ৯টায়। যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আর নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত অর্থাৎ হেমন্ত, শীত, বসন্তে ভোট শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
বিগত উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটের আগের রাতে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগের মধ্যেই ভোটের সময়ে এ পরিবর্তন এলো।
সর্বশেষ ২৪ জুন বগুড়া-৬ আসনের উপ নির্বাচনে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। এর আগে উপজেলা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপেও ভোটও হয় এ সময় ধরে।
ওই সময় সুবিধাজনক মনে হওয়ায় এবার পুরো গ্রীষ্মকালেই ভোট শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে মাঠ কর্মকর্তাদের ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান জানান। তিনি বলেন, “দিনের দৈর্ঘ্য বিবেচনায় শীত ও গ্রীষ্মকালে ভোটের এই সময় আলাদা ঠিক করেছে ইসি।”
এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ভোটের জন্য সময় লাগে ৮ ঘণ্টা। ভোটগ্রহণ শেষ করে গণনা, ফলপ্রকাশসহ আরও কিছু কাজ থাকে। এ কারণে নিরাপত্তাসহ সব দিক বিবেচনা করে এতদিন ভোট শুরু হত সকাল ৮টায়, যাতে বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ করা যায়।
“কিন্তু গ্রীষ্মকালে দিনের দৈর্ঘ্য বড় হওয়ায় সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু করে বিকাল ৫টায় শেষ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেক্ষেত্রে হয়ত ব্যালট পেপার আগের রাতে কেন্দ্রে না পাঠিয়ে ভোটের আগে সকালে পাঠানো যাবে “
বছরের বাকি সময় আগের মত সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটের নিয়ম বহাল থাকবে বলে জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব।
তিনি বলেন, “যে এলাকায় যে সময় নির্ধারণ করা হবে, সে বিষয়ে ব্যাপক প্রচার চালানো হবে। এ নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই।”
এর অংশ হিসেবে ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের।
সেখানে বলা হয়েছে, “জনসাধরণের ভোটদানের সুবিধার্থে গ্রীষ্মকালীন (প্রতি বছর মে-অক্টোবর পর্যন্ত) সময়ে অনুষ্ঠিতব্য সব প্রকারের (স্থানীয় সরকার পরিষদ ও অন্যান্য) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত।”
কমিশনের এ সিদ্ধান্ত গণবিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করে প্রচারের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
নতুন সময়সূচিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং জালিয়াতির প্রবণতা কমবে বলে আশা করছে নির্বাচন কমিশন।