হজ উপলক্ষে সৌদিতে প্রথম ফ্লাইট যাবে ৪ জুলাই
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব মো: মাহবুব আলী ও ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট শেখ মোঃ আবদুল্লাহ উদ্বোধনী ফ্লাইটের যাত্রীদের বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন। এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার হজযাত্রী যাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম থেকে ১৯টি ও সিলেট থেকে ০৩টি হজ-ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। বাংলাদেশ থেকে এ বছর প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী পবিত্র হজব্রত পালনে সৌদি আরব যাবেন। হজ-ফ্লাইট ও শিডিউল ফ্লাইটে বিমানে যাবেন মোট ৬৩ হাজার ৫৯৯ জন হজযাত্রী। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ ব্যালটি এবং অবশিষ্ট ৫৬ হাজার ৪০১ নন-ব্যালটি হজযাত্রী বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় সৌদি যাবেন।
ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বিমানের নিয়মিত শিডিউল ফ্লাইটেও হজযাত্রীরা জেদ্দায় যাবেন। ঢাকা থেকে জেদ্দা প্রতি ফ্লাইটের উড্ডয়নকাল আনুমানিক ৭ ঘন্টা হবে। দুই মাস ব্যাপী হজ-ফ্লাইট পরিচালনায় শিডিউল ফ্লাইটসহ মোট ৩৬৫টি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মদিনা ১৮টি ও মদিনা থেকে বাংলাদেশে ১৫টি সরাসরি ফ্লাইট হবে। হজ-ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা-জেদ্দা উভয় স্থানেই বিশেষ ব্যবস্থার আয়োজন করেছে।
কিছু ফ্লাইটের হজযাত্রীদের জেদ্দা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন-কার্যক্রম প্রথমবারের মতো ঢাকাতেই সম্পন্ন করা হবে। এ উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের একটি ইমেগ্রেশন টিম ঢাকায় অবস্থান করবে। এতে করে বাংলাদেশি হজযাত্রীরা দীর্ঘ সফরের পর ইমিগ্রেশনের জন্য আবার ধকল পোহাতে হবে না। বিগত বছরগুলোতে সৌদি আরবে বিমান অবতরণের পর বিমানের ভেতরেই ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করানো হতো। তখন এই কাজ শেষ করতে দীর্ঘক্ষণ লেগে যেতো। অনেক সময় হজযাত্রীরা এয়ারপোর্টে বিমানের ভেতরে ৬ ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষাও করতে হতো। হজযাত্রীদের অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত সৌদি
সৌদির কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক আসসাম ফুয়াদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, ৪ জুলাই থেকে আগস্টের ৫ তারিখ পর্যন্ত হজযাত্রীরা বায়ু, ভূমি ও সমুদ্রপথে হজ উপলক্ষে সৌদিতে আগমন করবেন। হজসেবায় জড়িত সরকারি ও বেসরকারি সবগুলো সংস্থা হজযাত্রীদের গ্রহণ করতে এবং অভ্যর্থনা জানাতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।