পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত
পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমে ডিআইজি মিজানের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি জানান।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) এর মাধ্যমে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
তিনি জানান, ডিআইজি মিজানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাজা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে পুরোপুরি বরখাস্ত করা যায় না। মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আপাতত তাকে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
২০১৮ সালে একটি জাতীয় দৈনিকে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে এক সংবাদ পাঠিকাকে জোর করে বিয়ে করার সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এরপর তাকে সাময়িক বরখাস্তের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছিলো।
ওই ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এরপর নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে বিতর্কিত এই ডিআইজি মিজানকে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।
এদিকে, পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় দুদক। অনুসন্ধান শেষে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।
ডিআইজি মিজান ছাড়াও তার এক ভাই ও ভাগ্নের নামে করা সম্পদসহ ৪ কোটি ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয়।
এদিকে, প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির তার (মিজান) কাছ থেকে প্রতিবেদন পরিবর্তনের জন্য ৪০ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। তথ্য পাচারের অভিযোগে ইতোমধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে দুদক।
এছাড়া ডিআইজি মিজানকে এখনো কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না মর্মে গত ১৬ জুন এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। দুদক কর্মকর্তাকে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি সামনে এলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিজানকে সাময়িক বরখাস্তের একটি প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়।