‘ইচ্ছে করলে মার্কিন সামরিক বিমানকেও ভূপাতিত করতে পারতাম কিন্তু করিনি’

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ডিভিশনের প্রধান আমির আলী হাজিযাদেহ বলেছেন, আমরা ইচ্ছে করলে ৩৫ জন আরোহীসহ একটি মার্কিন সামরিক বিমানকেও ভূপাতিত করতে পারতাম কিন্তু আমরা তা করিনি। তিনি শুক্রবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

হাজিযাদেহ আরও বলেন, আমেরিকার যে ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়েছে সেটার সঙ্গে বোয়িং কোম্পানির একটি পি-এইট সামরিক বিমানও ছিল। ওই বিমানে ৩৫ জন আরোহী ছিল। ড্রোনের সঙ্গে ওই বিমানটিও আমাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল। এ কারণে আমরা ওই বিমানটিকেও ভূপাতিত করতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করি নি। কারণ ড্রোন ভূপাতিত করার মাধ্যমে আমরা মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনীকে কেবল সতর্ক করতে চেয়েছি।

জেনারেল হাজিযাদেহ আরো বলেন, মার্কিনীরা জানিয়েছে, গত সপ্তাহে আমরা তাদের একটি ড্রোনে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিলাম কিন্তু ভূপাতিত করতে পারিনি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা ওই ড্রোনটিকে ভূপাতিত করতে চাইনি বরং শুধুমাত্র সতর্ক করতে চেয়েছিলাম বলে ইচ্ছে করেই আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করেছি। কিন্তু মার্কিনীরা আমাদের সতর্কবার্তাকে সঠিকভাবে গ্রহণ করেনি।

তিনি বলেন, আমাদের গোটা ভূখণ্ডের নিরাপত্তা হলো রেড লাইন। মার্কিনীদের কাছে প্রশ্ন করা উচিত ইরানের বিমান যদি মার্কিন উপকূল দিয়ে এভাবে উড়ে যেত তাহলে তারা কী প্রতিক্রিয়া দেখাতো।

আইআরজিসি বৃহস্পতিবার ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় আমেরিকার অত্যাধুনিক গোয়েন্দা ড্রোন ‘গ্লোবাল হক’ ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে ভূপাতিত করেছে। ভূপাতিত করার আগে ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন না করতে ড্রোনটিকে কয়েক বার সতর্ক করা হয়েছিল বলে ইরান জানিয়েছে।