প্রেমিকার বাড়ির সমানে অনশন, বিয়ের পরিবর্তে গণপিটুনির শিকার প্রেমিক
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার বাড়ির সমানে অনশনে বসলেন প্রেমিক রাকেশ রায়। কিন্তু বিয়ের পরিবর্তে উল্টো গণপিটুনির শিকার হলেন যুবক। মাথায় দিতে হলো পাঁচ পাঁচটি সেলাই। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির এ ঘটনায় আহত রাকেশকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জি নিউজের প্রতিবেদনে জানা যায়, ধূপগুড়ি সাকোয়াঝোড়া এলাকার রাজধানীপাড়া এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল রাকেশের। বিয়েও করতে চান দু’জনে। কিন্তু বেকার ছেলের সঙ্গে বিয়ের ব্যাপারে তরুণীর পরিবারের আপত্তি থাকায় বিয়ে হচ্ছিল না।
শুক্রবার বিকেলে তরুণীর বাড়ির সামনে তাদের দু’জনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কিছু ছবি একটি প্ল্যাকার্ডে সাঁটিয়ে অনশনে বসেন প্রেমিক রাকেশ।
কিছুক্ষণ পর তরুণীর বাড়ির লোকজন এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে রাকেশকে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে হাসপাতালে।
চিকিৎসাধীন রাকেশ বলেন, দুই বছর ধরে আমাদের প্রেম। আমরা দুজনেই সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। আমার সঙ্গে তাকে বিয়ে দেবে না বলে জানায় তার পরিবারের লোকজন।
“আমি বলি, আমরা দুজনে পালিয়ে বিয়ে করব। কিন্তু ও রাজি হলো না। বলে, আমার বাড়িতে এসে বলো। এরপর আজ বিকেলে অনশনে বসি” যোগ করেন তিনি। তবে এ নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ ওই তরুণীর পরিবার।
জানা গেছে, সম্প্রতি ধূপগুড়ি কলেজপাড়া এলাকায় প্রেমিকার বাড়ির সামনে অনশনে বসেন অনন্ত বর্মণ নামে এক যুবক। এরপরে অনন্ত ও লিপিকার বিয়ে হয়। ওই প্রচেষ্টা সফল হওয়ায় রাজ্যে এ ধরনের অনশন বেড়েছে।