দেশের সর্ববৃহৎ উদ্ভিদের সংগ্রহশালা বশেমুরবিপ্রবি ক্যাম্পাস

বিশ্বব্যাপী প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হওয়াতে প্রাণ ও প্রাণের উৎস ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। জলবায়ু, খরা, বন্যা, ঝড়-ঝাপটাসহ ঋতু বদলের ঘূর্ণায়নের সব ক্ষেত্রে বদলে যাচ্ছে আমাদের সামাজিক পেক্ষাপট। মাত্রাতিরিক্ত বৃক্ষ নিধন করার যে মহাব্যবস্থা সর্বত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে তাতে ভিত-সন্দিহান ও সংশয়ে ভুগছি আমরা। অচিরেই কি অক্সিজেন অভাবে মৃত্যুর দুয়ারে দাড়িয়ে পড়বো?

আমাদের দেশের বনভুমির পরিমান যে দিন দিন কমে যাচ্ছে সে দিকে দেশের হর্তা-কর্তাদের মাথাব্যাথা তো নেই বরং যারা বৃক্ষ রোপনে বা প্রাকৃতিক বনাঞ্চল, লতা-গুল্ম রক্ষার জন্য নিজ থেকে সচেতন কিংবা আন্দোলন করে তাদের থামিয়ে দিতে একশ্রেণী উঠে পড়ে লেগে যায় জোকের মতো। আর সেই সময়ে প্রতিনিয়ত বৃক্ষরোপন ও সৃজন মাঠে থেকে কাজ করছেন, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ভিসি প্রফেসর ডঃ খোন্দকার নাসিরউদ্দিন। বৃক্ষের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা ও দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেই তিনি দেশকে পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে বেছে নিয়েছেন বৃক্ষরোপন। সফল হয়েছেনও বটে।

বৃক্ষকে তিনি অধিক ভালোবাসেন, একান্ত সময়গুলো পার করেন বৃক্ষ পরিচর্যা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর খোন্দকার নাসির উদ্দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনে বিশ্ববিদ্যালয়টি আজ দেশের সর্ববৃহৎ উদ্ভিদ সংগ্রহশালা হিসাবে পরিনিত হয়েছে। ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় ভিসি হিসেবে নিয়োগ পান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ডঃ খোন্দকার নাসিরউদ্দিন।

যোগদানের প্রথমদিনে তিনি বলেছিলেন, এই মরুময় ক্যাম্পাসকে তিনি সবুজের ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলবেন। তিনি কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা সেটা করেছেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দেশের সর্ববৃহৎ উদ্ভিদ সংগ্রহশালায় পরিণত হয়েছে।ক্যাম্পাসে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল, ফল, ঔষধি ও বনজ বৃক্ষ। সবুজের কার্পেটে ঢাকা এ শিক্ষাঙ্গনের ক্যাম্পাস এখন অযুত বৃক্ষরাজীর মেলা। প্রান ভরে যায় এর নৈসর্গিক পরিবেশ দেখলেই।

তানজীন মাহমুদ তনু, নিজস্ব প্রতিনিধি