রাইডশেয়ারিং কোম্পানির লাইসেন্স দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে জুলাই থেকে

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) আগামী ১ জুলাই থেকে অ্যাপভিত্তিক রাইড সেবাদাতা কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্স দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে । ইতিমধ্যে জমা পড়েছে  ১৬টি কোম্পানির আবেদন। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশসহ (ডিএমপি) সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাথে বৈঠক করেছে বিআরটিএ।

বিআরটিএর পরিচালক (প্রকৌশল) মো. লোকমান হোসেন জানান, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে জুলাই থেকেই ‘রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোকে’ লাইসেন্স দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সে হিসেবে নীতিমালা অনুমোদনের প্রায় দেড় বছর পর লাইসেন্স পেতে যাচ্ছে রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো।

এতদিন রাইড সেবাদাতা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠলেও নীতিমালা না থাকায় ব্যবস্থা নিতে পারছিল না বিআরটিএ। এজন্য ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি বিআরটিএর প্রণীত ‘রাইডশেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা ২০১৭’ অনুমোদন করে সরকার, যা ওই বছরের ৮ মার্চ থেকে কার্যকরের কথা ছিল।

ওই নীতিমালায় রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনের জন্য লাইসেন্স (এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট) নেয়া বাধ্যতামূলক করা হলেও নীতিমালার শর্ত পূরণ না হওয়ায় কাউকে এতদিন লাইসেন্স দেয়া যায়নি।

এর মধ্যে গত ১৩ জুন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের পর্যালোচনা সভায় এবিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো মোটামুটি সব শর্ত‌ই পূরণ করেছে বলেও জানান বিআরটিএর পরিচালক (প্রকৌশল) মো. লোকমান হোসেন।

তবে ন্যাশনাল ইমারজেন্সি হেল্পলাইনে (৯৯৯) কল করার ব্যবস্থা ছাড়াই আপাতত লাইসেন্স দেয়া শুরু হবে। জুলাইয়ের শেষ নাগাদ রাইডশেয়ারিং অ্যাপগুলোর সঙ্গে ৯৯৯ যুক্ত হবে বলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে জানানো হয়েছে।

এছাড়া রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে ভ্রমণের দূরত্ব অনুযায়ী সবোর্চ্চ ভাড়া নির্ধারণ করে দিতে হবে বলে বৃহস্পতিবারের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

গত বছরের ২২ এপ্রিল রাইড শেয়ারিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান পাঠাও লাইসেন্সের জন্য প্রথম আবেদন করে। পরে ওভাই সলিউশনস লিমিটেড, উবার বাংলাদেশ লিমিটেড, পিকমি লিমিটেডসহ ১৬টি কোম্পানির আবেদন জমা হয়।

আবেদন পাওয়ার পর ১০টি কোম্পানির কার্যক্রম পরিদর্শন করে বিআরটিএ। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানে রাইড শেয়ারিং নীতিমালার কিছু ধারা পূরণ না করায় লাইসেন্স দেয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু লাইসেন্স না পেলেও কোম্পানিগুলোর সেবাও বন্ধ করা হয়নি।

এই প্রেক্ষাপটে গত ৯ জানুয়ারি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব বরাবর একটি চিঠিতে সবগুলো শর্ত পূরণে ‘প্রয়োজনীয় সময়’ দিয়ে লাইসেন্স দেয়ার দেওয়ার প্রস্তাব করে বিআরটিএ। সে হিসেবে আগামী ১ জুলাই থেকে লাইসেন্স পেতে যাচ্ছে অ্যাপভিত্তিক রাইড সেবাদাতা কোম্পানিগুলো।